টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার আশা কার্যত শেষ ভারতের। কিছুটা ভরসা জোগাচ্ছে আফগানিস্তান। রশিদ খানরা নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিলে কিছুটা সুযোগ বাড়বে ভারতের সামনে। তবে আফগানিস্তান হেরে গেলেও খাতায়-কলমে বিরাটদের শেষ চারে উঠতে পারে। তবে সেটা একেবারেই খাতায়-কলমেই।
কিভাবে?
আপাতত ‘সুপার ১২’-এর ‘গ্রুপ ২’-তে শীর্ষে আছে পাকিস্তান। তিন ম্যাচে ১০০ শতাংশ জয়ের রেকর্ড নিয়ে গ্রুপের মগডালে আছেন বাবর আজমরা। নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধেও তাদের জেতার কথা। ফলে ‘গ্রুপ ২’ থেকে প্রথম হয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া কার্যত নিশ্চিত পাকিস্তানের। দ্বিতীয় দল নিয়েই আপাতত ওই ‘গ্রুপ ২’-তে যত লড়াই চলছে।
আপাতত দ্বিতীয় স্থানে আছে আফগানিস্তান। তিন ম্যাচে রশিদদের পয়েন্ট চার। নিট রানরেট +৩.০৯৭। তৃতীয় স্থানে আছে নিউজিল্যান্ড। দু’ম্যাচে কিউয়িদের পয়েন্ট দুই। নিট রানরেট +০.৭৬৫। দু’ম্যাচে দু’পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ আছে নামিবিয়া। নেট রানরেট -১.২৮৭। শেষ দুটি স্থানে আছে যথাক্রমে ভারত (-১.৬০৯) এবং স্কটল্যান্ড। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের ওপর গ্রুপের ভাগ্য অনেকাংশ নির্ভর করবে। ওই ম্যাচ আগামী ৭ নভেম্বর হতে চলেছে। সেখানে কী কী সম্ভাবনা আছে?
১) নিউজিল্যান্ডের আগে আফগানিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে। ওই ম্যাচে যদি আফগানিস্তান হেরে যায়, তাহলে চার ম্যাচে চার পয়েন্ট থাকবে। ওই ম্যাচে হারের ব্যবধান যত কম থাকবে, তত লাভ আফগানিস্তানের। এমন পরিস্থিতিতে কিউয়িদের বিরুদ্ধে যদি আফগানিস্তান জিতে যায়, তাহলে রশিদদের পাঁচ ম্যাচে পয়েন্ট হবে ছয়। নিউজিল্যান্ডেরও পয়েন্ট ছয় হবে (স্কটল্যান্ড এবং নামিবিয়ার বিরুদ্ধে জিতবে ধরে নিয়ে)। আর ভারতের পয়েন্ট ছয় (আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড এবং নামিবিয়ার বিরুদ্ধে জিতবে ধরে) পয়েন্টও হবে ছয়। সেক্ষেত্রে নিট রানরেটের বিচারে তিন দলের লড়াই হবে। ফলে আগামী তিন ম্যাচে যদি বিরাট বাহিনী বড় ব্যবধানে জেতে এবং নিট রানরেট অনেকটা ভালো করতে পারে, তবেই লাভ হবে। নাহলে আপাতত যা নেট রানরেট, তাতে বিশাল এগিয়ে আছে আফগানিস্তান।
২) যদি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ড জিতে যায়, তাহলে ভারতের যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই (স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিরুদ্ধে কিউয়িরা জিতবেন ধরে নিয়ে)। সেক্ষেত্রে কিউয়িদের পয়েন্ট দাঁড়াবে আট। ভারত সব ম্যাচ জিতলেও ছয় পয়েন্টের বেশি যেতে পারবে না।
ফলে নিউজিল্যান্ড যদি আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেয়, তবে আগামী ৮ নভেম্বর ভারত বনাম নামিবিয়া ম্যাচ স্রেফ নিয়মরক্ষার হবে। সেক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচে যদি কিউয়িরা জিতে যান, তাহলে ভারতকে প্রার্থনা করতে হবে যাতে কেন উইলিয়ামসনরা স্কটল্যান্ড বা নামিবিয়ার বিরুদ্ধে হেরে যান। তাহলেই কিছুটা সুযোগ থাকবে ভারতের সামনে।
যদিও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এখন যা পরিস্থিতি, তাতে নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচে রশিদদের হয়েই গলা ফাটাতে হবে বিরাটদের। কিউয়িদের হয়ে গলা ফাটাতে চাইলে এই বিশ্বকাপকে অঘটনের তকমা পেতে হবে। সেইসাথে নিজেদেরও সব ম্যাচ জিততেই হবে বড় ব্যবধানে। ভারতের এখন যা ফর্ম, তাতে বড় ব্যবধান তো দূরের কথা, সব ম্যাচে বিরাটরা জিততে পারবেন কিনা, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন অনেকেই।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস