করোনা ভাইরাসের অতিমারি মোকাবেলায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক বা কঠোর লকডাউন শুরু হতে পারে। এ সময়ে জরুরি সেবা সংক্রান্ত অফিস ছাড়া বাকী সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। দুয়েক দিনের মধ্যেই সরকার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে জানা গেছে।
তবে কঠোর লকাউনেও এবার খোলা থাকবে দেশের পুঁজিবাজার। চলবে লেনদেন। তবে লেনদেনের সময়সীমা কী হবে তা নির্ভর করবে ব্যাংকে লেনদেনের জন্য সময়সূচী কী নির্ধারণ করা হচ্ছে তার উপর। ব্যাংক লেনদেনের সময়ের চেয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় কিছুটা কম হতে পারে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ব্যাংক খোলা থাকলে যে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে সেটি কমিশন একাধিকবার নিশ্চিত করেছে। তাই আগামী লকডাউনেও পুঁজিবাজার খোলা থাকবে, যদি ব্যাংক লেনদেন চালু থাকে।
এদিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গতকাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সর্বাত্মক লকডাউনেও জরুরি সেবা সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। আর ব্যাংক এই জরুরি সেবার মধ্যেই পড়ে। কারণ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক লেনদেন ব্যাংকের সাথে জড়িত। তাছাড়া চিকিৎসাসহ নানা জরুরি প্রয়োজনে মানুষের হঠাৎ টাকা তোলার প্রয়োজন। ব্যাংক বন্ধ থাকলে সেটি সম্ভব নয়। তাই সর্বাত্মক লকডাউনেও ব্যাংক খোলা থাকবে। তবে ব্যাংকে লেনদেন সময়সূচি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।