এই রিপোর্টটি তিনি না করার জন্য বলেন কিন্তু আমাদের অনুরোধের কারনে অনুমতি দেন, আসলে তিনি চান না যে তাহার কাজ গুলো সবাই জানুক কেননা সবার কথাতো এক নয় যেমন কেও বলতে পারে লোক দেখানো আর পত্রিকায় ছবি আর নাম ফুটানো
যাইহোক আমরা চেষ্টা করেছি সত্য কথা পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য,বর্তমান সমাজে কথাটির তাৎপর্য ফিকে হতে বসেছে। এমনই
একটা সময়, করোনার করাল গ্রাসে পৃথিবী বিপর্যস্থ। করোনা মহামারী না এলে হয়তো বুঝতে কষ্ট হতো মানুষ কি না করতে পারে? প্রয়োজনে তার নিজের জীবন বিলিয়ে দিতেও কুন্ঠাবোধ করেনা। তার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ শ্রীনগরের জসিম মোল্লা। বাংলাদেশ এক্স- ক্যাডেটস এসোসিয়েশন জাতীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, মুন্সিগঞ্জ ইউনিট সভাপতি, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক মুন্সিগঞ্জ জেলার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক-ও পিপিজি কোয়ার্ডিনেটর, ফ্রেন্ডস্ সমাজকল্যাণ সংসদের চেয়ারম্যান ও বাগবাড়ী সমাজকল্যাণ পাঠাগারের সভাপতি। ব্যক্তিগত জীবনে এক কন্যা সন্তানের জনক মো: জসিম মোল্লা করোনা ভাইরাসের আক্রমনের শুরু থেকেই মানুষের সেবায় যিনি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন নানা ধরনের কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে।
কখনও সুজন কমিটির সভা করে সকলকে মানুষের সেবায় কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন। আবার কখনও লিফলেট হাতে বেরিয়ে পড়ছেন। মানুষকে সচেতন করছেন, তাদের ডেকে বলছেন ভাই ঘর থেকে বাইরে বের হবেন না। আপনার জীবন আপনাকেই রক্ষা করতে হবে। জীবন মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আবার তাদেরকেই বলছে করোনার একমাত্র চিকিৎসা ঘরে থাকা। আবার কখনও জীবানুনাশক স্প্রে মেশিন নিজেই কাধে চাপিয়ে সারা এলাকা জীবনুমুক্ত করার জন্য
জীবানু নাশক ছিটাচ্ছে
ঘন্টার পর ঘন্টা। ১৭ মার্চ ২০২০
বিনা মেঘে বজ্রঘাত, জসিম নিজেই
নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারে নাই, যখন মৃত্যুর মিছিলের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। মানুষ যখন দিশে হারা, তখন জসিম দায়িত্ব
পালনে অটল। বড় ভাই তুহিন সিকদার, শত প্রতিকুলতার মধ্যেও সে এক মহুর্তের জন্য ভুলে থাকেনি তাঁর প্রিয় তুহিন ভাইকে। কারণ কয়েকদিন বাদেই ঈদ। ছুটে গেছে প্রিয় বড়ভাই তুহিন সিকদারের পরিবারের খোজ নিতে। প্রায় ৪০ কিলোমিটার এই করোনার ভিতর মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থেকে ছুটে গেছে ঢাকার গেন্ডারিয়ায় প্রয়াত তুহিনের পরিবারের খোজ নিতে।
ভুল করেনি ভাবী ও ভাইয়ের সন্তানের জন্য ঈদের
কেনাকাটা করতে, যখন জানতে পারলো কোলাপাড়া ইউনিয়নের ছোট ভাই নাহিদ এবং রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের সৈকত, কুকুটিয়া ইউনিয়নের সোহেল রানা করোনায় আক্রান্ত তখন নিজে চাঙ্গাড়ি ভর্তি ফল নিয়ে তাদের মনোবল চাঙ্গা করতে ছুটে গেছেন । যখন কুরবানির ঈদ আসন্ন বন্যার পানি স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত হচ্ছে তখন এলাকার ৩৫৭ পরিবারকে ২ প্যাকেট সেমাই, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি মুড়ি, ১ কেজি প্যাকেট পোলাউর চাল, ১ কেজি আড়ং দুধ দিয়ে নিজের ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন দুঃখী পরিবার গুলোর সাথে। সত্যিই মানবদরদী জসিম। জসিম মোল্লাকে দেখলে মনে হয় করোনা এবং বন্যায় আমাদের কিছুই করতে পারবেনা। জসিম মোল্লারাই আমাদেরকে করোনামুক্ত আগামীর শান্ত পৃথিবী উপহার দেবে।