করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় চীনের আহ্বানে এশিয়ার পাঁচ দেশ বৈঠক করেছে। এ বৈঠকে করোনা মোকাবেলায় কাজের তথ্য ভাগাভাগি ও সমন্বয় জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অংশগ্রহণ দেশের প্রতিনিধিরা। গত ১০ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণকারী অন্য দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা। বৈঠকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সফলভাবে মোকাবেলা করতে চার দেশের অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারেরও আহ্বান জানানো হয়। এ বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
এর আগে গত জুলাই মাসে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও নেপালের সঙ্গে একই ধরনের বৈঠক ডেকেছিল চীন। তবে এবারের বৈঠকে আফগানিস্তান অনুপস্থিত থাকলেও নতুন করে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।
১০ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চীনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুও জাওহুই। এর দু’দিনের মাথায় ১২ই নভেম্বর বৈঠকের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এতে বলা হয়, পারস্পরিক স্বার্থে বিভিন্ন খাতে সকলেই যাতে লাভবান হতে পারে, সেজন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশের পরামর্শ সবাই গুরুত্বের সঙ্গে মেনে নিয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারি বিষয়ক ধারণা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে জোরদার করতে ‘রাজনৈতিক ঐক্যমত্য’ গঠনের জন্য এই বৈঠক।
করোনাকে যৌথভাবে পরাজিত করতে, জনগণের জীবন বাঁচাতে, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতি কাটিয়ে উন্নয়নের গতি বাড়াতে চীন, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা কোভিড-১৯ এর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত একটি প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ভিডিও কনফারেন্স আহ্বান করে বলে চীনের ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, শরৎ এবং শীতকাল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য একটি সংকটময় সময়। পাঁচটি দেশই এ ব্যাপারে একমত হয়েছে। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় নীতি ও কাজের তথ্য ভাগাভাগি এবং পরস্পর সমন্বয় জোরদার করতেও সবাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া চীন পরীক্ষা, চিকিৎসা ও ওষুধের বিষয়ে বাকি চারটি দেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে এবং পণ্য সরবরাহে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত রয়েছে। করোনা উত্তরকালে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও বিকাশ জোরদার করতে বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অগ্রগতির সমন্বয় সাধনের বিষয়েও দেশগুলো একমত হয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ কাঠামোর অধীনে অবকাঠামোগত যোগাযোগ দ্রুত গতিতে উন্নীত হবে। সীমান্ত বন্দরগুলোতে মালামালের সহজ পরিবহণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যবস্থা নেয়া হবে।