একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে কোভিড ইউনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার সকালে ফকির আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর বলেন, ‘গত বুধবার ফকির আলমগীরের করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসার পর চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’
ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সাথে যুক্ত ফকির আলমগীর ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেব ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন৷ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন।
স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সঙ্গীতের সাথে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন ৭১ বছর বয়সি এ শিল্পী। সঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয় সরকার।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শিল্পীর কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৮২ সালের বিটিভির আনন্দমেলা অনুষ্ঠানে তার। গাওয়া ও সুর দেয়া ‘ও সখিনা’ গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ফকির আলমগীর সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠাতা, গণসংগীত চর্চার আরেক সংগঠন গণসংগীত শিল্পী পরিষদের সাবেক সভাপতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেন।
শিল্পীর লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয় পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে।