করোনা মহামারির তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এর মধ্যে এপ্রিল মাসে দেশে হঠাৎ করেই করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুতে ব্যাপক উল্লম্ফন হয়। মাঝে কিছুদিন শনাক্ত ও মৃত্যু কমলেও আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে, যা দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ২৩৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। সোমবার (১২ জুলাই) করোনা শনাক্ত হয় ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের, যা একদিনে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।
আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ১২৩৮৩, ১২১৯৮, ১৩৭৬৮, ১১৮৭৪, ৮৭৭২, ১১৩২৪ ও ১১৬৫১ জন রোগী শনাক্ত হয়।
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৪ হাজার ৯৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত হার ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪২ হাজার ৪৯০টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার করা হয়েছে ৭১ লাখ ৪৪ হাজার ৮২০ জনের। মোট শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
একনজরে দেশের করোনার চিত্র
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ১২২৩৬ জন
মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ১০৭১৭৭৪ জন
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ২২৬ জনের
মোট মৃত্যু হয়েছে: ১৭২৭৮ জনের
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ৮৩৯৫ জন
মোট সুস্থ হয়েছেন: ৯০৫৮০৭ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২২৬ জন মারা গেছেন। রোববার (১১ জুলাই) করোনায় মারা যান ২৩০ জন, যা এযাবৎ কালের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ২১০, ২০৩, ২২০, ২৩০, ১৮৫, ২১২ ও ১৯৯ জন।
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২৭৮ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৮ হাজার ৩৯৫ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ ৫ হাজার ৮০৭ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক শুন্য ৫১ শতাংশ।