২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ৩রা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১২:৪৪
২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ৩রা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১২:৪৪

কাজী রোজীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারজয়ী কবি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রোজীর (৭৩) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান এ উপলক্ষে পৃথক শোকবার্তা প্রদান করেন।

শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, কাজী রোজী তার লেখনীর মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কাজ করে গেছেন। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

রাষ্ট্রপতি কাজী রোজীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এদিকে বিশিষ্ট কবি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রোজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবিতার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তার সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত মধ্যরাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও রাজনীতিবিদ কাজী রোজী।

কবি কাজী রোজী ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে সাহিত্যে স্নাতক ও এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। সরকারি চাকরি করেছেন। ২০০৭ সালে তথ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। ১৯৬০ সালের দশকে কবিতা লেখা শুরু করেন।

কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালের বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক পান।

কাজী রোজীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো—কাব্যগ্রন্থ পথঘাট মানুষের নাম, নষ্ট জোয়ার, আমার পিরানের কোনো মাপ নেই, লড়াই, শহীদ কবি মেহেরুন নেসা (জীবনী গ্রন্থ), রবীন্দ্রনাথ: রসিকতার কবিতা (গবেষণা গ্রন্থ)।

তিনি জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রথমাবস্থায় নির্বাচিত অপর ৪৭ জন সদস্যের সঙ্গে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ‘সংসদ সদস্য’ পদে নির্বাচিত হন।জাতীয় সংসদের গ্রন্থাগার সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

কাজী রোজী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের চতুর্থ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn