কাতার বিশ্বকাপে বুধবার আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে কানাডা-বেলজিয়াম ম্যাচে বেলজিয়াম ১-০ গোলে জয় পেয়েছে।
একমাত্র গোলটি করে তাদের জয়ের নায়ক মিচি বাতসুয়াই।ম্যাচের শুরু থেকে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেয় কানাডা।
কাগজে-কলমের সব ব্যবধান ঘুচিয়ে পুরোটা সময় চাপ ধরে রাখল বেলজিয়ামের ওপর।
কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত খালি হাতে মাঠ ছাড়তে হলো তাদের। আক্রমণের বিচারে দ্বিতীয় সেরা দল বেলজিয়াম এক মুহূর্তের জাদুতে পেয়ে গেল গোল। তুলে নিল কাঙ্ক্ষিত জয়।
আসরে শিরোপার দাবিদারদের একটি, র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর বেলজিয়ামের ওপর ক্রমেই চাপ বাড়ায় কানাডা।
দশম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত তারা। ডি-বক্সে হাত দিয়ে বল ছুঁয়ে হলুদ কার্ড দেখেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ইয়ানিক কারাসকো। পেনাল্টিও পেয়ে যায় কানাডা।
শুরুর বিবর্ণতা কাটিয়ে ২২তম মিনিটে ভালো একটি আক্রমণ শাণায় বেলজিয়াম। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে এদেন আজার প্রতিপক্ষের কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলে ডি-বক্সে খুঁজে নেন ইউরি তিলেমান্সকে। তার পাস ধরে শট নেন বাতসুয়াই। দারুণ ট্যাকলে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান ডিফেন্ডার কামাল মিলার।
ওই আক্রমণে বেলজিয়ানদের ছন্দ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেও আদতে তা হয়নি। বরং প্রতিপক্ষের আগ্রাসী ফুটবলে ঘর সামলাতেই ব্যস্ত সময় কাটে তাদের।
প্রথমার্ধে কানাডার দাপট কতটা ছিল, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে পরিসংখ্যানে। ৪৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে ১৪টি শট নেয় তারা, বিপরীতে বেলজিয়ামের মাত্র চারটি। লক্ষ্যে অবশ্য থাকে দুই দলেরই সমান দুটি করে।
তেমনি এক শটে ৪৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। মাঝমাঠের অনেক আগে থেকে উঁচু করে থ্রু বল বাড়ান টবি আল্ডারভাইরেল্ড, আর প্রতিপক্ষের দুজনের মধ্যে দিয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে গোলটি করেন ফেনেরবাচের ফরোয়ার্ড বাতসুয়াই।