চলমান ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে থিঙ্ক-ফিল্ম ইম্প্যক্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে বাংলাদেশের তাহরিমা খান পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র ‘মুন্নি’। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় পালে দে ফেস্টিভাল ভবনের রিভিয়েরা টু’তে এই পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। মূলত কান চলচ্চিত্র উৎসবের বাণিজ্যিক শাখা মার্শে দ্যু ফিল্মের অন্যতম একটি প্রোগ্রামের নাম `কান ডকস’। এতে `ডকস-ইন-প্রোগ্রেস’ বিভাগে নির্বাচিত ৩২টি প্রামাণ্যচিত্র প্রকল্পের মধ্য থেকে ‘মুন্নি’ এই পুরস্কার জিতে নেয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ফেসটাইমের মাধ্যমে যুক্ত হন তাহরিমা খান। তিনি বলেন, `আমি খুব খুশি ও আনন্দিত। শিগগিরই প্রামাণ্যচিত্রটির পুরো কাজ শেষ করে ফেলবো। আশা করি, এই নির্মাণ সমাজে সত্যিকারের প্রভাব ফেলতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। ধন্যবাদ জানাই বিচারকদের।’
ইন্টারন্যাশন্যাল ফিল্ম ইনিশিয়েটিভ অব বাংলাদেশের সভাপতি সামিয়া জামান `মুন্নি’ পুরস্কৃত হওয়ার পর বলেন, `আমরা আইএফআইবি থেকে এবারই প্রথম শোকেস সাউথ এশিয়া আয়োজন করেছি। এর মধ্যে `মুন্নি’ গুরুত্বপূর্ণ একটি পুরস্কার পেলো। ছবিটি শেষ হওয়ার পর থিঙ্ক-ফিল্ম ইম্প্যাক্টি প্রচারণার দিকটি ডিজাইন করবে। এমন বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় ‘মুন্নি’র পরিচালক, প্রযোজকসহ পুরো টিমের জন্য আমি খুশি।’
উৎসবের ৭৪তম আসরের অষ্টম দিন ছিলো ‘ডক ডে’। এ উপলক্ষে কান ডকস ও মার্শে দ্যু ফিল্মের সাথে যৌথভাবে ছয়টি পুরস্কার দিয়েছে মোনাকো ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জিং ফিল্ম ট্যালেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইইএফটিএ)। এবার আইইএফটিএ অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ১০ হাজার ইউরো পেয়েছে স্লোভেনিয়ার প্রামাণ্যচিত্র প্রকল্প ‘শেনতানি’।
‘ডকস-ইন-প্রোগ্রেস’ বিভাগে ইন্টারন্যাশন্যাল ফিল্ম ইনিশিয়েটিভ অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় শোকেস সাউথ এশিয়ায় নির্বাচিত হয় চারটি প্রামাণ্যচিত্র প্রকল্প। এর মধ্যে ছিলো আবু শাহেদ ইমন প্রযোজিত ‘মুন্নি’। অন্য তিনটির মধ্যে নেপালের সাবিনা শ্রেষ্ঠ পরিচালিত ‘দেবী’ পেয়েছে সম্মানসূচক মেনশন। পুরস্কৃত বাকি চারটি প্রামাণ্যচিত্র প্রকল্প হলো ফ্রান্সের ‘গেট্টো’, ফিলিস্তিনের ‘থ্রি প্রমিজেস’, ফ্রান্সের ‘অব ডগস অ্যান্ড গডস’, চিলির ‘মিটিং পয়েন্ট’ এবং ইতালির ‘সাভয়া’। রিভিয়েরা টু’র প্রেক্ষাগৃহে গত ১০ জুলাই শোকেস সাউথ এশিয়ায় নির্বাচিত প্রকল্প চারটি কিছু অংশের উপস্থাপনা ছিলো।