সিলেটের গোলাপগঞ্জের চৌঘরী এলাকার কাশবনে স্থানীয় লোকজন আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কাশবন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর দাবি, কাশবনে অশ্লীল কর্মকাণ্ড হয়। এসব কর্মকাণ্ড এড়াতে তাঁরা কাশবনে আগুন দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাশবনটি সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থিত। চৌঘরী এলাকার এক বাসিন্দা ব্যক্তিগতভাবে বালু উত্তোলন করে জমিয়ে রেখেছিলেন। বেশ কিছু দিন ধরে ওই এলাকায় জমিয়ে রাখা বালুতে প্রাকৃতিকভাবেই কাশবন হয়। শরৎকালে কাশফুল দেখতে অনেকেই এখানে বেড়াতে আসতেন। কাশবনের খবর সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
কাশবনটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না। দর্শনার্থী বাড়তে থাকায় ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে কথা–কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে। গতকালও স্থানীয়দের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দর্শনার্থীদের কথা–কাটাকাটি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার কয়েকজন দাবি করেন, কাশবনে দিন দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছিল। কাশবন দেখার নাম করে অনেকেই এলাকায় অশ্লীল–অসামাজিক কর্মকাণ্ড করছেন। যেকোনো সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য সব দিক বিবেচনা করে কাশবনে আগুন দেওয়া হয়।
গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফারুক আহমদ বলেন, আগুন কে বা কারা দিয়েছে তা জানা যায়নি। এ নিয়ে স্থানীয় যুবসমাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কারা আগুন দিয়েছেন, সেটি তিনি জানতে পারেননি।
গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ক্বাসিমী বলেন, ‘শুনেছি কাশবন দেখতে মানুষ ভিড় করত। হঠাৎই সেটিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আর বিষয়টি জানা নেই।’
গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গোলাম কবির বলেন, কাশবনকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল। কাশবনটি পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। কাশবনটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায়। সরকারি জায়গায় হলে সেটি পর্যটন স্পটে রূপান্তর করা যেত।