উজানের পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে কিশোরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলার আটটি উপজেলার প্রায় ৫০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার (২০ জুন) দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরই মধ্যে ১৫টি গ্রামে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, জেলার উপজেলাগুলোর বসতবাড়ি, বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। এসব এলাকার বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এরই মধ্যে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। তবে গবাদিপশুসহ মালামাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি মানুষ।
এদিকে জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত ১৪০ টন চাল, নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। আরও ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৩৩২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমানে ৪ হাজার ৮৯৬ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। এ ছাড়া ৩৬৫টি গবাদিপশু রয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, বন্যার্তদের উদ্ধারে পর্যাপ্ত পরিমাণে নৌকা প্রস্তুত রাখাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।