২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:২১
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:২১

কুবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে মারামারি, আহত ১০

সিনিয়রের নাম ধরে ডাকা কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। 

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৮-১০ জন আহত হয়েছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বাঁধন অর্থনীতি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ সোহাগের নাম ধরে ডাকেন। 

সোহাগের বন্ধু ওয়াকিল বিষয়টি শুনলে ১২তম ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাফী, সোহাগ ও ওয়াকিল ২০০৩নং রুমে বাঁধনকে ডেকে শাসান। একপর্যায়ে বাঁধনকে তারা চড় মারেন। 

এ ঘটনার পর বাঁধন ১৩তম ব্যাচের তার বন্ধুদের বিষয়টি জানান। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২০০৩নং রুম থেকে শাফীকে ডেকে নিয়ে যান ১৩তম ব্যাচের সাদমান। 

এ সময় হানিফ, সাদমান, মিরাজ, রবিনসহ ৮ থেকে ১০ জন শাফীকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ৩০৩ নং রুমে একদফা মারধর করেন। 

এর পর শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের রুমে (৩০৩) ডেকে নিয়ে বিচারের নামে আধাঘণ্টা ধরে ফের তাদের মারধর করেন শাখা ও হল ছাত্রলীগের নেতারা। এতে ১৩তম ব্যাচের বেশ কয়েকজন আহত হন। 

এ বিষয়ে ১৩তম ব্যাচের কর্মী হানিফ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের বন্ধুকে মারধরের বিষয়ে জানতে তাদের রুমে যাই। তবে সেখানে আমরা কাউকে আঘাত করিনি। 

১২তম ব্যাচের ছাত্র শাফী হাসান বলেন, আমি হলের সিনিয়র হিসেবে জুনিয়রদের আচরণের বিষয়ে তাদের বুঝিয়ে বলি। কিন্তু তারা এসে আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। আমি এর বিচার চাই। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিউল আলম দীপ্ত বলেন, হলের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়ে ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়েছে।  বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এটি হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, আমরা বসে বিষয়টি সমাধান করে দেব। 

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আবাসিক হলের বিষয়গুলো প্রভোস্ট দেখভাল করেন। হল প্রভোস্টসহ হলের যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তারা অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

Facebook
Twitter
LinkedIn