সোমবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে কুমিল্লায় সিটি নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা গতকালও দিনভর ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। এদিকে নির্বাচনের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অনেকটা আকস্মিকভাবে রবিবার বিকালে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন দুবারের সাবেক মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
এছাড়া আরেক সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তার ১৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। নির্বাচনকে ঘিরে নগরজুড়ে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা।
তবে, ভোটগ্রহণ সামনে রেখে বহিরাগত ঠেকাতে সতর্ক প্রশাসন। পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে পুরো নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন সেলক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ১৫ জুন। ফলে ১৪ জুন থেকেই কেন্দ্রগুলোতে মোতায়েন থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। ১০৫টি কেন্দ্র শুধু পুলিশ সদস্যই থাকবে ৩ হাজারের বেশি। এছাড়াও নিয়োজিত থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা।
রিটানিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী জানান, ভোটে সামনে রেখে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বহিরাগত ঠেকাতে গোয়েন্দারা সতর্ক বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরইমধ্যে বসেছে ১৭টি চেকপোস্ট, মাঠে আছে ২৯টি মোবাইল টিম।
এদিকে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানিয়েছেন, ভোট উপলক্ষে ১২ প্লাটুন বিজিবিসহ ২৭ ওয়ার্ডে ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিশেষ মোবাইল কোর্ট থাকবে।
নগরবাসীর প্রত্যাশা নির্বিঘ্নে ভোট দেয়ার। কড়া নিরাপত্তার পাশাপাশি এবার নির্বাচনে সব কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারিতে রাখবে নির্বাচন কমিশন।