বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ করছে বিএনপি। রোববার সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করেছে।
রোববার সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতা-কর্মীরা ব্যানারে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে জড়ো হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণে সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। আর প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এরই মধ্যে সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান বাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরাফত আলী সপু, ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত হয়েছেন।
অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান তারা।
এর আগে শুক্রবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তাকে নেয়া হয় সিসিইউতে। পরদিন সকালে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক করে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
বৈঠকে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রের এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। এ সময় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ জানান, খালেদা জিয়ার মাউল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে খালেদা জিয়ার হার্টের প্রধান ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লক ধরা পড়ায় একটি রিং বসানো হয়।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো না হলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ দফায় হাসপাতালে ভর্তি করা হল খালেদা জিয়াকে। ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।