২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:২০
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:২০

খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ছে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রোববার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আনিসুল হক জানান, বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- আগের মতো এই দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দেয়া হয়েছে। এখন সরকার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে।

উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠবারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে তার পরিবার। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ আবেদন জমা দেয়া হয়।

এর আগে গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর পৃথক পাঁচটি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ এক বছর করে বাড়ান হাইকোর্ট।

পাঁচ মামলার মধ্যে ঢাকায় তিনটি মামলা, নড়াইল ও কুমিল্লায় রয়েছে একটি করে মামলা।
এর মধ্যে ঢাকার তিনটি এবং নড়াইলের একটি মামলায় বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ জামিনের মেয়াদ বাড়ান।

আর কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগের মামলায় জামিনের মেয়াদ বাড়ান বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মো: ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ।

দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়া আগেই ১৭ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া। তবে করোনাভাইরাসের মহামারীর পর এই দণ্ড স্থগিত রেখেছে সরকার। প্রথমে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করা হলেও তা দফায় দফায় বাড়ানো হয়।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। পরে উচ্চ আদালতে আপিল করলে সাজা বেড়ে হয় দ্বিগুণ।

উচ্চ আদালতের আদেশের পর দিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায় হয় বিচারিক আদালতে। এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড পান বিএনপি নেত্রী। ফলে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।

Facebook
Twitter
LinkedIn