২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:২৬

খোলা সয়াবিনের কৃত্রিম সংকট

তেল নিয়ে তেলেসমাতি কারবার শুরু হয়েছে। হঠাত করেই রাজধানীর কোনো কোনো বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল উধাও হয়ে গেছে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও তা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে এ অবস্থা দেখা যায়। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) গতকাল তাদের নিত্যপণ্যের বাজারদরের প্রতিবেদনে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল না পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, গত বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী নতুন করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব নাকচ করার পরই একশ্রেণির ব্যবসায়ী ভোজ্যতেলের বাজারে এ অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেল বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড  বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আরো ১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করে। তাদের প্রস্তাবে ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৮০ টাকা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। আর ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮৭০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে খোলা সয়াবিন ও পামঅয়েলের দামও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। 

নতুন এই দর ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রস্তাবে বলা হয়। কিন্তু গত ২ মার্চ সচিবালয়ে নিত্যপণ্যের মজুত ও সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিপণনকারী কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের দাম আরো ১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, সামনে রমজান মাস। তাই এখন সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো যাবে না’। কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রীর দাম না বাড়ানোর এ নির্দেশের পর ঐদিন বিকালেই সয়াবিন ও পামঅয়েলের দাম আরেক দফা বেড়েছে। এর আগে সর্বশেষ ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারিভাবেই সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়ানো হয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা আরো জানিয়েছেন, যেহেতু আগামী ৩১ মের পর থকে সয়াবিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থেকে পামঅয়েল খোলা অবস্থায় বিক্রি করা যাবে না। প্যাকেটজাত করে বিক্রি করতে হবে। তাই অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি চক্র অধিক মুনাফার আশায় আগেভাগেই বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল সরিয়ে ফেলছে। এজন্যই বাজারে এ অস্থিরতা।

Facebook
Twitter
LinkedIn