কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলারের সংকটের কারণে প্রথমবারের মত দাম ছাড়িয়ে গেছে ১০০ টাকা। মঙ্গলবার খোলাবাজারে এক ডলার বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১০১ টাকায়। যেখানে সোমবার ডলার বিক্রি হয়েছিল ৯৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৩০ পয়সা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, খোলাবাজারে ডলারের তীব্র সংকট দেখা দেয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে দাম। বেশ কিছুদিন ধরেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। সোমবার এক দিনেই ডলারের বিপরীতে ৮০ পয়সা দর হারায় টাকা।
দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক দিনে টাকার এতো বড় দর পতন হয়নি। এদিকে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে সোমবার ও মঙ্গলবার এক ডলার বিক্রি হয়েছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সায়। যেখানে ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে এর চেয়ে ৫ টাকা বেশি দরে।
মানি এক্সচেঞ্জের কর্মীরা জানিয়েছেন, এদিন তারা সর্বোচ্চ ১০০-১০১ টাকা করে ডলার কিনেছেন। বিপরীতে বিক্রি করেছেন ১০১-১০২ টাকায়। দাম বাড়লেও বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা।
দাম বাড়লেও বাজারে ডলার খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প কিছু ডলার কেনাবেচা হচ্ছে। এবার ডলারের দাম কোথায় গিয়ে থামবে এবং কতদিন এ পরিস্থিতি থাকবে তা আমরাও বুঝতে পারছি না বলে জানান মানি এক্সচেঞ্জের কর্মীরা।
নয়াপল্টনের এ এইচ মানি চেঞ্জারের এক কর্মী বলেন, ৩১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু। হজকে কেন্দ্র করে ডলারের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে ডলারের জোগান কম। ডলারের দাম বাড়ার জন্য এটা একটা বড় কারণ। এ পরিস্থিতি থাকলে সামনে ডলারের দাম আরও বাড়তে পারে।
এদিকে ডলারের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৬৯১ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ৭০৮ টাকা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৩৯৯ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৪ হাজার ৩৫ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৫৩ হাজার ৩৬৩ টাকা করা হয়েছে।