অনেক সময় দেখা যায়, শিশু গাড়িতে চড়লেই বমি করে- যা খুবই অস্বস্তিকর। এছাড়া এটি অভিভাবকের জন্যও ভোগান্তির বিষয়।
পরিচিত এই সমস্যার সমাধানে অনেকেই অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করেন। কেউ কেউ আবার বমি বন্ধ না করার জন্য শিশুকে ওষুধও খাওয়ান। তবে কিছু ঘরোয়া কার্যকরী পদ্ধতি জানা থাকলে এই সমস্যা সহজেই সমাধান হয়ে যাবে। এর ফলে শিশু গাড়িতে চড়েও বমি করবে না। বরং পুরো যাত্রাপথে থাকবে ফুরফুরে।
জেনে নিন এমনকিছু উপায় যার মাধ্যমে সহজেই শিশুর বমি বন্ধ করা সম্ভব-
এলাচ :
বমি থামাতে কার্যকরী হতে পারে এলাচ। এই মশলার গন্ধে গা গোলানো বা মাথা ধরা ভাব অনেকটাই কমে যায়। এলাচ চিবিয়ে খেলে বমি থামার পাশাপাশি অনেকটা সতেজ অনুভূত হবে।
পেঁয়াজের রস :
শিশুর বমিভাব কমাতে দারুণ কাজ করে পেঁয়াজের রস। সেজন্য সম পরিমাণে পেঁয়াজ এবং আদার রস মিশিয়ে শিশুকে মাঝে মাঝে খাওয়ান। এতে তার গাড়িতে চড়লে বমির সমস্যা দূর হবে।
লবঙ্গ :
গাড়িতে চড়ার আগে শিশুর মুখে লবঙ্গ দিয়ে রাখতে পারেন। এটি তার জিহ্বার নিচে রাখতে বলুন। এর ফলে মুখে সুগন্ধ থাকার পাশাপাশি বমি, গ্যাস্ট্রিক, বুক জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায়।
দারুচিনি গুঁড়া :
আরেকটি উপকারী মশলা আছে যা শিশুর বমি থামানোর ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। সামান্য দারুচিনি গুঁড়া করে তা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানিটুকু শিশুকে খেতে দিন। এতে শিশুর বমির সমস্যা থাকলে তা সহজেই দূর হবে।
ভাতের মাড় :
এক কাপ চাল ভালো করে ধুয়ে তা দিয়ে ভাত তৈরি করে নিন। এরপর ভাতের মাড়টুকু সামান্য লবণ মিশিয়ে শিশুকে খেতে দিন। অনেক সময় শিশুর পেটে সমস্যার কারণে বমিভাব হয়ে থাকে, এমন সমস্যায় এটি ভালো কাজ করে।
জিরা :
বমি থামানোর ক্ষেত্রে আরেকটি উপকারী উপাদান হতে পারে জিরা। প্রথমে এক চা চামচ আস্ত জিরা শুকনো খোরায় ভালোভাবে টেলে নিন। এরপর তা গুঁড়া করে নিন। জিরার গুঁড়াটুকু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে শিশুকে খেতে দিন। এতে তার যাত্রাপথে বমি বন্ধ হবে।