২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১০:৩৬
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১০:৩৭

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫% বাড়ানোর সুপারিশ

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর পর এবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎতের দাম ১৫ থেকে সাড়ে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। তাদের দাবি, প্রস্তাবনা অনুযায়ী দাম বৃদ্ধি না করলে লোকসানে পড়বে বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বোরবার সকালে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে রেগুলেটরি কমিশনের গণশুনানিতে দাম বাড়ানোর পক্ষে গণশুনানি চলছে।

শুনানিতে অংশ নেয় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ- পিজিসিবি সঞ্চালন খরচ প্রতি ইউনিটে ১২২%, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৫.০৮, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ড ২০.৩%, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি – ডিপিডিসি ২৭.৪৮%, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি – ডেসকো ১৯.০৮%, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ১৯.৩৮% ও নেসকো গ্রাহক পর্যায়ে ২২.০৬% বিদ্যুৎতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে।

যদিও ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজুমার এসোসিয়েশনের অব বাংলাদেশ- ক্যাব বলছে, ভর্তুকি কমাতে দাম বাড়ানো অযৌক্তিক। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়বে। সংগঠনটির সভাপতি ড. শামসুল আলম জানান, আমাদের শঙ্কা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উস্কে দেবে।

তবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলছেন, বিতরণকারী সংস্থার প্রস্তাবের যৌক্তিকতা যাচাই বাছাইয়ের পাশাপাশি অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে দাম বৃদ্ধির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আলাদা ট্যারিফ ও পাইকারি মূল্যে বিদ্যুৎতের আবেদন জানিয়েছে বলেও জানানো হয় শুনানিতে।

গত ২১ নভেম্বর পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক নয় দুই শতাংশ বেড়েছে। সবশেষ ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ে ২০২০ সালে। গত ৩ বছরের বিভিন্ন খাতে ব্যয় বৃদ্ধি ও পাইকারী দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর দাবি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

Facebook
Twitter
LinkedIn