রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও ভেতর থেকে আটক হওয়া কয়েকশ বিএনপি নেতাকর্মীকে একে একে আদালতে আনা হচ্ছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নয়াপল্টন থেকে আটক করা বিএনপি নেতাকর্মীদের আদালতে হাজির করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে নিয়ে আসা হয় তাদের।
বুধবার নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর পুলিশি অভিযানে বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মী ও পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে।
এর আগে বুধবার সকাল থেকেই নয়াপল্টনের একপাশের সড়ক দখলে নেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। জড়ো হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিকেল তিনটার দিকে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুরো এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মারমুখী হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যান চলাচলের বিঘ্ন ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের রাস্তা ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে তারা রাস্তা থেকে সরে না গিয়ে হঠাৎ করেই পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকা। মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টন, মতিঝিল, শান্তিনগর এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবহার করা হয় রায়টকার ও জলকামান।
এদিকে সংঘর্ষের সময় মকবুল হোসেন নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি বিএনপিকর্মী ছিলেন বলে দলটির দাবি। এছাড়া আহত অবস্থায় দলটির প্রায় ২০ নেতাকর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অভিযানে দলের সিনিয়র অনেক নেতাকে আটক করে পুলিশ।
বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষের পর রাতে বিএনপি কার্যালয় থেকে বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধারের কথা বলে পুলিশ।