২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:৩০
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:৩০

গয়েশ্বর-ইশরাকসহ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর আগাম জামিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনের দিন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বাসে আগুন দেওয়ার মামলায় তারা আগাম জামিন পেয়েছেন।

আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন দেন।

বিএনপি নেতাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, গয়েশ্বচন্দ্র রায়, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা-১৮ আসনে উপ-নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ ১২০ জন নেতাকর্মীকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

তিনি জানান, ওইদিনের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নয় থানায় অন্তত ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের তথ্য মতে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে পল্টন থানার বিএনপি পার্টি অফিসের উত্তর পাশে পার্ক করা সরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর দুপুর ১টার দিকে মতিঝিল থানার মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে, ১টা ২৫ মিনিটে রমনা হোটেলের সামনে চলতি ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে দেড়টার দিকে দেওয়ান পরিবহনে, ২টা ১০ মিনিটে সচিবালয়ের উত্তর পাশে রজনীগন্ধা পরিবহন ও বংশাল থানার নয়াবাজার এলাকায় ২টা ২৫ মিনিটে দিশারী পরিবহনে আগুন দেওয়া হয়।

এছাড়া দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে পল্টন থানার পার্কলিং-এ জৈনপুরী পরিবহন, বিকেল ৩টায় মতিঝিল থানার পূবালী পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন দোতলা বিআরটিসি বাসে, ভাটারা থানার কোকাকোলা মোড়ে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে ও রাতে উত্তরার আজমপুরে বাসে আগুন দেওয়া হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধারণা করছে, ঢাকা-১৮ আসনে সংসদীয় উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী কোনো পক্ষ নাশকতার উদ্দেশ্যে একযোগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসে আগুন দিয়েছে। নির্বাচনী এলাকার দু’টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ও ভোটগ্রহণের সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা এক কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn