২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:০৮
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:০৮

চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলছে বাস, ভাড়া দ্বিগুণ

সারাদেশে চলমান পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে রোববার সকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে দূর পাল্লার সকল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। অব্শ্য দ্বিগুণ ভাড়াতে মহানগরীতে বাস চলাচল করছে। আগে ওঠানামা পাঁচ টাকা নির্ধারিত হলেও রোববার থেকে ওই ভাড়া ১০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে বলে পরিবহন মালিকদের সংগঠন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

দিকে, চলমান পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যেও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতি নামে পরিবহন মালিকদের সংগঠনের নেতারা শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বাস চালানোর কথা জানায়।

সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, সকাল থেকে আমাদের সমিতির অধীন যে বাসগুলো আছে তা মহানগরীতে চলাচল করছে। যাত্রীদের যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা সিটি এলাকায় বাস চালু করেছি।

তিনি বলেন, ‘আগে ওঠানামা পাঁচ টাকা নিলেও এখন ওঠানামা ১০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। অন্যান্য ভাড়া কিলোমিটারে ঠিকই আছে। আগে যানবাহন চলাচল করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। তারপর সরকার যেভাবে ভাড়া নির্ধারণ করবে সেভাবেই ভাড়া নেবো। দু’দিনের মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

এদিকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ব্যক্তিগত গাড়িতে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন যাত্রীরা। এজন্য তাদের দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। অনেক যাত্রীবাহী গাড়ি একজনের সিটে দু’জন বসিয়েও নিচ্ছে।

গত ৩ নভেম্বর তেল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পর শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে পরিবহন মালিকেরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। এতে বিপাকে পড়েন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যাত্রীরা।

চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার সব বাস ছাড়ে নগরীর অলঙ্কার মোড় ও এ কে খান মোড় থেকে। শুক্রবার সকাল থেকে বাসের সব কাউন্টার বন্ধ। কাউন্টারের সামনে ও রাস্তায় যাত্রীদের ভিড়। যদিও রাতে দু-একটি গাড়ি চালালেও ভাড়া ছিল দ্বিগুণ।

চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে চালকেরা লোকসানের ঝুঁকির কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছেন। আমরা ধর্মঘটের ডাক দিইনি। বাস ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাদের আগে থেকে তেল মজুত আছে, তারাই রাস্তায় বাস নামিয়েছে।’

চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল বলেন, ‘তিনদিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কোনও সংগঠন যদি পরিবহন চালাতে চায় তবে চালাতে পারে। এতে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে আমরা এটা বলতে পারি,, আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন চট্টগ্রাম মহানগর, জেলা ও দূরপাল্লার কোন পরিবহন বা বাস-মিনিবাস চলাচল করছে না।’

অপরদিকে, পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় আজ রোববারও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কোনো পণ্য বাইরে যায়নি। তিন দিন ধরে বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহ না হওয়ায় সংকটে পড়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : ইউএনবি

Facebook
Twitter
LinkedIn