Search
২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৭শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১:০৪

চলছে কঠোর বিধিনিষেধ, তবুও রাস্তায় যানজট

করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে দেশে চলছে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। কিন্তু দিন যতোই যাচ্ছে, ততোই ঢিলেঢালা ভাব দেখা যাচ্ছে বিধিনিষেধ মানার ক্ষেত্রে। বিধিনিষেধের ১২তম দিন আজ সোমবার সড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ। সেই সঙ্গে অবাধে চলাচল করেছে মানুষ।লকডাউনের প্রথম সপ্তাহের তুলনায় দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজধানীর সড়কগুলোতে বেড়েছে নিজস্ব গাড়ি, রিকশা, মোটরসাইকেল ও মানুষের চাপ। সরকারঘোষিত লকডাউনকে তোয়াক্কা না করে অবাধে চলাফেরা করছে মানুষ। মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব। সরকারি প্রজ্ঞাপনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও গলির মধ্যের অধিকাংশ দোকানই খুলতে শুরু করেছে। অবাধে চলছে অলিগলির চায়ের দোকানে আড্ডা। বেশির ভাগ মানুষের মুখে থাকছে না মাস্ক। সড়কের কোথাও কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পিকআপে অলস বসে থাকতে দেখা গেছে সদস্যদের। সড়কের কোথাও কোথাও চেকপোস্ট থাকলেও ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা গেছে।কাধিক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য, পুলিশ সদস্যসহ পথচারীদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণায় প্রথম দুই-তিন দিন সড়কে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি একেবারেই কম ছিলো। এরপর থেকে দিন যতোই যাচ্ছে, মানুষের উপস্থিতি ও বিভিন্ন যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা ও মাইক্রোবাসের সংখ্যা অনেক বাড়ছে। এছাড়া মোটরসাইকেলেও দুজন আরোহী দেখা গেছে।সোমবার সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অধিক যানবাহন ও জন চলাচলের দৃশ্যে চোখে পড়ে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে অধিকাংশ মানুষকে রিকশায় চলাচল করতে দেখা যায়। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গণপরিবহন না চলার সুযোগ নিয়ে রিকশাচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn