২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৩০
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৩০

‘চিরকাল আজ’ নাটকে প্রশংসিত মেহজাবীন

আরটিভির ঈদ আয়োজনের ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত ৭টা ৩০ মিনিটে ভিকি জাহিদের রচনা ও পরিচালনায় একক নাটক ‘চিরকাল আজ’ প্রচারের পর থেকেই নাট্যপরিচালক, অভিনয়শিল্পী, কলা-কুশলীসহ দর্শকদের পাশাপাশি নাট্যাঙ্গনের অনেকেই প্রশংসা করছেন।

আফরান নিশো, মেহজাবীন চৌধুরী, সাবেরি আলম, কায়েস চৌধুরী অভিনীত নাটকটিতে এমনেশিয়া বা স্মৃতিলোপের উপর এক গল্প দেখানো হয়েছে, যেখানে এই এমনেশিয়া রোগীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। এটা পৃথিবীর বিরলতম রোগের মধ্যে একটি। এর অনেকগুলো ধরণের মধ্যে সবচেয়ে কঠিনতম হচ্ছে এন্টারোগ্রেড এবং রেট্রোগ্রেড এমনেশিয়া; যে কিনা তার স্মৃতি সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১০ সেকেন্ড মনে করতে পারে, এরপর সবকিছু ভুলে যায়। এই বিরলতম রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ক্লাইভ ওয়েরিং; যিনি কিনা ইংল্যান্ডের একজন মিউজিশিয়ান। ‘দ্য ম্যান উইথ দা সেভেন সেকেন্ড মেমরি’ ডকুমেন্টারি থেকে এমন তথ্য জানা যায়।সেই ডকুমেন্টারির অনুপ্রেরণায় এরকম একটি চরিত্রে অভিনয় করার দুঃসাহস প্রয়োজন, আর সেটাই দেখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। হয়েছেনও সফল, যার প্রমাণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ভিকি জাহেদের পরিচালনায় এখানে মেহ্জাবীনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো।এমন একটা চরিত্র ধারণ করে অভিনয় করাটা খুব বেশি কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং ছিলো জানিয়ে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, আমার অভিনয় ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম কোনো স্ক্রিপ্ট যেটা আমি টানা দুই থেকে আড়াইদিন পড়েছি, স্ক্রিপ্টটা পড়তে গিয়ে আমি রীতিমত অসুস্থ হয়ে পড়ছিলাম। এটা এতোটাই ক্রিটিক্যাল যে, আমার ব্রেইন সেটাকে হজম করতে পারছিলো না। আমার ক্যারিয়ারে এটাই সবচেয়ে বেশি কমপ্লিক্যাটেড চরিত্র ছিলো।

তিনি আরো বলেন, ‌পৃথিবীর কঠিন কাজ হচ্ছে জীবিত মানুষের জন্য শোক পালন। শোক শব্দটি মৃত মানুষের জন্য বরাদ্ধ। সেটা আমার তিথীর জন্য প্রয়োজ্য হবে কেন? কিন্তু একটা প্রশ্ন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা আমাকে খোঁচায়। আর সেটা হলো তিথী কি এখনো জীবিত?

নাটকটি দেখে অভিনেত্রী মৌটুসি বিশ্বাস তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন- ভিকি জাহেদের পরিচালনায় ‘চিরকাল আজ’ দেখলাম। তার গল্প বলা এবং নির্মাণে সবসময় বৈচিত্র্য রাখেন। দেখে ভালো লাগে। মেহজাবীনের প্রশংসা দেখে আগ্রহ নিয়ে দেখলাম। অনেক পরিণত হয়েছে। সাধনা, পরিশ্রম দেখার মতো। সামনে আরো অনেক এগিয়ে যাবে।আফরান নিশো যে নিরব অভিনয় এবং রিয়্যাকশন দিয়ে গেছে, সুযোগ করে দিয়েছে মেহজাবীনকে অভিনয় করার তা দেখার মতো। এই পর্যায় এসে ইন্সিকিওর্ড না হয়ে শুধু চরিত্রের মধ্যে থাকা…..দারুণ। সাবেরি আলম আপা কিশোর বয়স থেকে থিয়েটারের সঙ্গে যিনি যুক্ত ছিলেন। ভালো গল্প, পরিচালক, অভিনেতাদের পেলে সেই মায়ের চরিত্রই কতো আলাদাভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। আমি আমার কলিগদের ফিকশন দেখি, উপভোগ করি, উৎসাহ দেই। তাই তো হয়া উচিত। তাই না?

Facebook
Twitter
LinkedIn