চীনের শিনইউ শহরের একটি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৩৯ জন এবং আহত হয়েছে আরও ৯ জন। ওই দোকানের বেসমেন্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জিয়াংশি প্রদেশে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গ্লোবাল টাইমসের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ভবন থেকে চারদিকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে এবং লোকজন জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা করছে। আরও দেখা যায়, কয়েকটি অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি এবং অন্যান্য গাড়ি সারিবদ্ধভাবে দোকানটির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কী কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
গত নভেম্বরে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শানসি প্রদেশে একটি কয়লা কোম্পানির অফিসে অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়। তার এক মাস আগে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় একটি বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া গত এপ্রিলে বেইজিংয়ের একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ২৯ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে গত সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশে ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৯ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে ইউনান প্রদেশের ঝাওটং জেলার লিয়াংশুই গ্রামে ভূমিধসের ঘটনায় ৪৭ জন মাটির নিচে চাপা পড়ে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সর্বশক্তি দিয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারের নির্দেশ দেন। চীনা ভাইস প্রিমিয়ার ঝাং গুওকিং উদ্ধার অভিযান তদারকির জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
চীনা সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির বরাতে মার্কিন নিউজ চ্যালেন সিএনএন জানিয়েছে, এক হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী ও ৪৫টি উদ্ধারকারী কুকুর চাপাপড়া লোকদের উদ্ধারে কাজ করছে। এ দুর্ঘটনায় ১৮টি বাড়ি মাটিতে মিশে গেছে এবং পাঁচ শতাধিক মানুষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কয়েকদিন আগে দেশটির হেনান প্রদেশের একটি স্কুলের ডরমিটরিতে অগ্নিকাণ্ডে ১৩ শিশু প্রাণ হারায়। ওই স্কুলের সাতজন স্টাফকে পরবর্তীতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স, সিজিটিএন।