২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ২:৩৬
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ২:৩৬

চীন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী: তালেবান

সরকার গঠনের আগে চীনকে আফগানিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী বলে জানিয়ে দিলেন তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ।

বৃহস্পতিবার ইতালীয় একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুজাহিদের উদ্ধৃতি দিয়ে জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।  

মুজাহিদ বলেন, চীন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তারা আমাদের জন্য মৌলিক ও অসাধারণ সুযোগের প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগ ও পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুত।

তালেবান মুখপাত্র এও জানিয়েছেন, চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচিকেও সমর্থন করবেন তারা।

মুজাহিদ মনে করেন, আমাদের দেশে নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবে চীন। তিনি জানান, ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচি দিয়ে চীন বন্দর, রেলপথ, রাস্তা এবং শিল্পাঞ্চলের বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এশিয়া মহাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাকে আফ্রিকা এবং ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত করতে চায়। এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে আফগানিস্তানের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের কাজ দ্রুত হবে।

এনডিটিভি জানায়, শি জিপিং সরকারের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর’ (সিপিইসি) নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। 

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া এই সড়ক ভারতের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করছে বলে নয়াদিল্লির অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের নয়া শাসকদের ‘অবস্থান’ ভারতের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের দাবি, আফগানিস্তানের তামা, লিথিয়াম, রুপো, নিকেলের ভাণ্ডারের দিকে ‘নজর’ রয়েছে চীনের। কাবুলে তালেবান ক্ষমতা দখলের পরই সে দেশে খনিশিল্পে বিনিয়োগের জন্য সক্রিয় হয়েছে বেজিং। 

চলতি সপ্তাহেই চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, তারা মনে করেন, সব দেশের তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পথ দেখানো উচিত

Facebook
Twitter
LinkedIn