চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বেইজিং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। রোববার (২৮শে মে) পররাষ্টমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মুঠোফোনে বৈশাখী টিভিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, চীনের ভাইস মিনিস্টারের সঙ্গে আলোচনায় দুই দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রসঙ্গটি এসেছে। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের জন্য একটি আমন্ত্রণপত্র এনেছিলেন। আগামী ২৩শে সেপ্টেম্বর এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে চেয়েছিল চীন। কিন্তু ওই সময়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়ায় কথা থাকায় প্রধানমন্ত্রী চীন যেতে পারছেন না।
এদিকে, আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন চীনের ভাইস মিনিষ্টার সুন ওয়েইডং। সাক্ষাতের সময় চীনের ভাইস মিনিষ্টার সফরের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রসঙ্গটি ছিল অন্যতম বিষয়।
চীনের ভাইস মিনিস্টারের এ সফরে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করা জরুরি মনে করছে চীন। গত শনিবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এ বিষয়টি সুরাহার জন্য চীন এগিয়ে এসে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সহায়তা করছে। তাই পাইলট প্রকল্পের আওতায় কীভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখনো অনিশ্চিত বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই সফরে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল নির্মাণ, যোগাযোগ অবকাঠামো, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বড় প্রকল্পে চীনের সহায়তা বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেশটির বিনিয়োগ আশা করে বাংলাদেশ, তা জানানো হয়েছে চীনের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং কে।