ঋণ আদায়ের জন্য চেক ডিজঅনারের অভিযোগ তুলে কারও বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক মামলা করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনানুযায়ী অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে। পাশাপাশি আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
ঋণ আদায়ের জন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলা বাতিল করে বুধবার বিচারপতি আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ের বিষয়টি ব্র্যাক ব্যাংকের আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন নিশ্চিত করে বলেন, এ সংক্রান্ত সব মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আদালত। তবে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন।
রায়ে আদালত বলেছেন, ঋণের বিপরীতে ব্যাংক যে চেক নিচ্ছে সেটা জামানত, বিনিময়যোগ্য দলিল নয়। জামানত হিসেবে রাখা সেই চেক দিয়ে চেক ডিজঅনার মামলা করা যাবে না।
সাইফুজ্জামান তুহিন বলেন, ব্র্যাক ব্যাংকের এক মামলায় মো. আলী নামে এক ব্যক্তির ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকা অর্থদণ্ড হয়।
এ সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আলী। তার সেই আপিলের শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের সাজা স্থগিত করে ওই রায় দেয় উচ্চ আদালত।
আদালতের রায়ে বলা হয়, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ একটি চুক্তির মাধ্যমে নেওয়া হয়ে থাকে। ব্যাংকের কিছু দুর্নীতিবাজ, অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের স্বার্থে চেকের অপব্যবহার করে এসব মামলা করে থাকে।
আদালত আরও বলে, ঋণের বিপরীতে ব্ল্যাংক চেক নেওয়াটাই বেআইনি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এ বেআইনি কাজ করে আসছে। ঋণ আদায়ের জন্য শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনে বর্ণিত উপায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করা যাবে।
বর্তমানে আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।