২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৩:৫০
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৩:৫০

চোটের ভয়কে জয় করেছেন তাসকিন

আগের দিন মিরপুর স্টেডিয়ামের ইনডোরে ব্যথা ছাড়াই ৫ ওভার বোলিং করেছেন। গতকাল তাসকিন আহমেদের নেট সেশনে হাজির দুই নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাক। তাদের সামনেই ডানহাতি এ পেসার ৭ ওভার বোলিং করলেন।

বোলিং দেখে বের হওয়ার সময় নির্বাচক হাবিবুল জানালেন, তাসকিন ফিট, খেলার জন্য প্রস্তুত। পরশু (২৪ জুন) যাবে। একই সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডের পাশাপাশি টি-২০ দলেও তাসকিনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি গতকাল নিশ্চিত করেছেন হাবিবুল।

কাঁধের চোট কাটিয়ে উঠলেও গত সপ্তাহে জিম করার পর কোমরে ব্যথা পেয়েছিলেন তাসকিন। তিন দিন বিশ্রাম নিয়ে সেই চোটও কাটিয়ে উঠেছেন। এখন ক্যারিবিয়ানগামী বিমানে চড়ার অপেক্ষায় এই ফাস্ট বোলার। আড়াই মাস পর জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য প্রস্তুত তাসকিন। কাঁধের চোট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ফিরেছিলেন। তারপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ মিস করেছেন। লন্ডনে চিকিৎসা নিয়েছেন, রিহ্যাব শেষ করে এখন বল হাতে ছুটতে চান তিনি।

গতকাল অনুশীলনের পর তাসকিন জানিয়েছেন, শতভাগ দিয়েই বোলিং করতে পারছেন। নির্বাচক, চিকিত্সক, ফিজিও সবাই তার বর্তমান ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্ট। ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করার পরও চোট পিছু ছাড়ছে না তাসকিনের। অবশ্য চোটের ভয়কে পুরোপুরি জয় করেছেন এ তরুণ। চোটে পড়লে রিহ্যাব করে আবারও ফিরে আসার মাঝে চ্যালেঞ্জ ও মজা রয়েছেন মনে করেন তিনি।

বারবার চোটের ধাক্কা সম্পর্কে তাসকিন গতকাল বলছিলেন, ‘আসলে যে কোনো সময় যে কোনো মুহূর্তে ইনজুরি হতে পারে। আপনিও এখন হাঁটতে গিয়ে পা মচকে পড়ে যেতে পারেন (হাসি)। তো এইটা আসলে ভয় পেয়ে লাভ নাই, ইনজুরি হতেই পারে। যখন খেলতে নামব শতভাগ দিয়েই চেষ্টা করব। ইনজুরি হলে আবার রিহ্যাব করে আবার (ফিরে) আসব। এটা হতেই পারে।’

লম্বা বিরতির পর দলে ফিরতে পারছেন, এটাই তাসকিনকে সবচেয়ে বেশি স্বস্তি দিচ্ছে। ২৭ বছর বয়সি এ পেসার বলেন, ‘আমি চাইব সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিয়ে জয় উপহার দিতে পারি। সবসময়ই এটাই ইচ্ছা থাকে। শতভাগ দেব বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। আসলেই ইনজুরি ফাস্ট বোলারদের টুকটাক হয়। হলে আবার কামব্যাক করতে হবে এটাই চ্যালেঞ্জ এবং এটাতে মজাও আছে। প্রায় আড়াই মাস পর দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারলে এটা সব থেকে বেশি আনন্দের। একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য এটাই সব থেকে শান্তির বিষয় দলের সঙ্গে থাকা।

Facebook
Twitter
LinkedIn