২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৪৯
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৪৯

‘ছয় মাস পর বড় কোনো শক্তি পুঁজিবাজার নিয়ে খেলতে পারবে না’

আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে পুঁজিবাজার টেকসই হবে। এরপর বড় কোনো শক্তি বাজার নিয়ে খেলতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলা

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিএসইসির সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য প্রতিদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে আর ভয় নেই। আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে এই স্থিতিশীলতা আরো জোরালো হবে।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বর্তমান কমিশন অনেক সক্রিয়। হঠাৎ করে কোন শক্তি যেন পুঁজিবাজারকে ফেলে দিতে না পারে সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। আমরা বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কাজ করছি।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আইপিও দিচ্ছি, আরো আইপিও দেব। এতে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়ছে। তবে যদি কখনো দেখা যায় এতে বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাহলে আমরা তা পরিবর্তন করবো।

তিনি বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন কোভিড-১৯ শুরু হয়েছে। তখন পুঁজিবাজার আড়াই মাস বন্ধ ছিল। এর মধ্যেও আমরা কাজ করেছি। মূলত অর্থনীতিকে সচল রাখতে কাজ করেছি।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আরও বলেন, সরকার কোভিডের সময়ে সাপ্লাই চেইনে যে দূরদর্শিতা দেখিয়েছেন তা আমরা এখন বিভিন্ন সূচকের মাধ্যমে দেখতে পারছি। আমরা অর্থনৈতিকভাবে সফলতা পাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা তো ফেরেস্তা না যে আমাদের ভুল হবে না। আমাদের ভুলগুলো মিডিয়া ধরিয়ে দেবে এটাই প্রত্যাশা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

প্যানেল আলোচনায় ছিলেন বিডি ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স আ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান, সিএমজেএফ সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল ও সেক্রেটারি মনির হোসেন।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

বক্তারা বলেন, জযেন্ট স্টকে লক্ষাধিক কোম্পানি তালিকাভুক্ত থাকলেও স্টক মার্কেটে শতাধিক কোম্পানি তালিকাভুক্তি। এ সব কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে হলে নতুন নতুন প্রোডাক্ট চালু করতে হবে। বিশেষ করে নন লিস্টেড ও লিস্টেড কোম্পানির মধ্যে কর্পোরেট ট্যাক্সের পার্থক্য কমাতে হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn