২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:৪১
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:৪১

 জলন্ত উদাহরণ ডা. জাফরুল্লাহ 

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৫১ বছর দেশের গরিব, অসহায়দের চিকিৎসাসেবা ও নারীর ক্ষতায়নে কাজ করেছেন। সারা দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৪০টি পাবলিক হেলথ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তিনি ১৯৭১ সালে লন্ডনের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনসে এফআরসিএস ডিগ্রিতে পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় চূড়ান্ত পর্ব শেষ না-করে লন্ডন থেকে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ভারতের আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন। নিজে চিকিৎসক হওয়ায় সহযোদ্ধা ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। 

অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দান করেন। যা দিয়ে তারা রোগীদের সেবা করতেন। তার এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি পরে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সমায়িকী ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত হয়। বিশ্বব্যাপী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী পাবলিক হেলথ মুভমেন্ট নেতা হিসাবে পরিচিত। 

এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার ছাড়াও ক্যানসার হাসপাতাল ও ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। 

ঢাকার অদূরে সাভার এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন গণবিশ্ববিদ্যালয়, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল ও ফিজিওথেরাপি কলেজ, পাবলিক হেলথ সেন্টার। করোনা মহামারিকালে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কীট উদ্ভাবন ছাড়াও প্রতিরোধ ও প্রতিকারের গবেষণায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ভূমিকা রাখে। 

উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেকে তাকে বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু বরাবরই তিনি বলেছেন, ‘আমি দেশের মানুষের জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি। সেই আমি বিদেশে চিকিৎসা নেব, তা কী করে সম্ভব। আমি এই দেশে চিকিৎসা নিয়ে মরতে চাই।’

Facebook
Twitter
LinkedIn