২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:২৭

জাতীয় গণহত্যা দিবস আজ

আজ ২৫ মার্চ। জাতীয় গণহত্যা দিবস। পূর্ব পাকিস্তানকে দমনের অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের আজকের এই রাতে পশ্চিম পাকিস্তানের হঠকারী সামরিক শাসকশ্রেণী ইতিহাসের এক জঘন্যতম গণহত্যা পরিচালনা করেছিল। অপারেশন সার্চলাইট নামে পরিচিত ঠাণ্ডা মাথায় পরিচালিত ২৫ মার্চ রাতের নির্বিচার গণহত্যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অমোচনীয় দগদগে ক্ষতচিহ্নস্বরূপ। ইতিহাসে ২৫ মার্চ ‘কালরাত’ হিসেবে পরিচিত। এ হিসেবেই দীর্ঘ দিন দিবসটি পালিত হয়ে আসছিল। তবে ২৫ মার্চকে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য ২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে প্রস্তাব পাস হয়।

আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ পরিহার করে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র ঘুমন্ত অসহায় মানুষের ওপর। চাপিয়ে দেয় অন্যায় যুদ্ধ। অনিবার্য করে তোলে বহু ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র স্বপ্নের পাকিস্তানের ভাঙন। শুরু হয় এ অঞ্চলের বঞ্চিত মানুষের আলাদা করে বাঁচার রক্তক্ষয়ী লড়াই, যার ফল আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভের পর পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নানা নিপীড়নের শিকার হতে থাকে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকশ্রেণীর হাতে, যা ছিল এ অঞ্চলের মানুষের কল্পনার বাইরে। কিন্তু তা-ই সত্যে পরিণত হলো। ঔপনিবেশিক-বর্ণবাদী শোষণ আর বৈষম্য থেকে বাঁচার জন্য মুসলমানরা আলাদা রাষ্ট্র পাকিস্তান চেয়েছিল; কিন্তু ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগের পরপরই বঞ্চনার নতুন অধ্যায়ের মুখোমুখি হতে লাগল পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ। পাকিস্তান বিষয়ে মোহভঙ্গ হতে শুরু হলো এ অঞ্চলের মানুষের। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে বারবার রাজপথে নামতে বাধ্য করা হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn