২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৭:২০
২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৭:২০

জামিন চাইলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নি

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার (৩০ মে) মিন্নির জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি খালাস চেয়ে আপিল করেন।

নিজের স্বামীকে খুনের পরিকল্পনার দায়ে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে ফাঁসির আদেশ দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। বাকি ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়। এরপর ওই বছরের ২৯ অক্টোবর বরগুনা জেলা কারাগার থেকে মিন্নিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

গত ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং ‘বন্ড বাহিনী’। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ওই বছরের ২ জুলাই মামলার এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।

হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর একই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

পরে একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নিকে জামিন দেন। এরপর একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১৪ জনকে অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্ত করা হয়।

২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। বাকি তিনজনকে খালাস দেয়া হয়।

এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৪), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২২), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (২০), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২৩), মো. হাসান (২০) এবং আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (২০)।

Facebook
Twitter
LinkedIn