জার্মানিতে নজিরবিহীন বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রায় ১৩০০ মানুষের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
শুক্রবার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রেকর্ড বৃষ্টিপাতের পর ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলো প্লাবিত হয়ে ওই অঞ্চলের বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
জার্মানি ছাড়াও বেলজিয়ামে বিরুপ আবহাওয়ায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজনীতিবিদরা এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, বন্যাদুর্গত আরভেইলার অঞ্চলে অনেক মানুষ নিখোঁজ। এতে করে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হেলিকপ্টার দিয়ে বন্যাদুর্গত ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষজনকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জার্মানির রাইনল্যান্ড-পালাটিনাটে ও নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ ও সুইজারল্যান্ডের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তবে এসব দেশ থেকে এখনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক অকেজো হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দুই লাখ বাড়িঘর। ফলে এসব বাসিন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকশ সেনা সদস্য এবং আড়াই হাজার ত্রাণকর্মী উদ্ধার কার্যক্রমে পুলিশকে সাহায্য করছে।
ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জার্মানির বাড নয়নার-আরভেইলার জেলায় প্রয় ১ হাজার ৩০০ জনের খোঁজ মিলছে না। আরও ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাসের মধ্যে আজ শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।