বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বৈধতা দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় জায়েদ খান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের জন্যও এই পদে দায়িত্ব পালনের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন।
ফলে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না কেউ। সঙ্গে সঙ্গে আবেদনটি ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে।
নায়িকা নিপুণের করা আপিলের শুনানি নিয়ে রোববার (৬ মার্চ) আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।
এ প্রেক্ষিতে সোমবার (৭ মার্চ) এফডিসিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন করেন শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি জায়েদ খানের শপথ অবৈধ দাবি করে এ পদ নিয়েও কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অভিনেতা বলেন, ‘যেহেতু সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা রয়েছে তাই এ পদের যে কার্যক্রম তা চালিয়ে নেবেন সাইমন সাদিক। তিনি আমাদের নির্বাচিত সহ-সাধারণ সম্পাদক।
এই অভিনেতা বলেন, শুক্রবার (৪ মার্চ) শপথের দিন জায়েদ খান আমাকে কোর্টের একটি কাগজ দেখায়, যেটার ফটোকপি চাইলে ওই দিন আমাকে দেয়নি। পরে গড়িমসি করে (৭ মার্চ) সকালে কাগজটি দিয়েছেন। কিন্তু কয়েক দিন আগে (২ মার্চ) যে রায় হয়েছে কাগজটি সেটির নয়, এটা গত ৯ ফেব্রুয়ারির। এর মানে জায়েদ খান শপথ নেওয়ার জন্য ছলনার আশ্রয় নিয়েছেন।’
বিষয়টি ধোঁকার সঙ্গে তুলনা করেন কাঞ্চন আরও বলেন, ‘যেহেতু জায়েদ খান সত্যের বিপরীতে গিয়ে ছলনার আশ্রয় নিয়েছেন, সভাপতি ও শিল্পী সমিতিকে ধোঁকায় ফেলেছেন, সেহেতু জায়েদ খানের শপথ আর কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বাতিল হয়ে গিয়েছে।’
নতুন সাধারণ সম্পাদক প্রসঙ্গে কাঞ্চন বলেন, ‘যেহেতু সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে, তাই সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা একটা জরুরি মিটিং ডেকে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো।’
ইলিয়াস কাঞ্চনের এ ঘোষণার সময় উপস্থিত শিল্পীরা সাইমনকে হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন সাইমন সাদিক। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি ইতিবাচক ভাবছি। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি। সমিতি দায়িত্ব দিলে আমি ভালোভাবে পালন করার জন্যও প্রস্তুত আছি।’