উপনির্বাচনে বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসন দুটিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মাত্র ৯০৪ ভোটে পরাজিত হয়েছেন মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে।
এরইমধ্যে হিরো আলম জানিয়েছেন, নির্বাচনের ফলাফল তিনি মানেন না। এবার গণভোট চাইলেন নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণে। জানালেন, জনপ্রিয়তা প্রমাণে ব্যর্থ হলে জীবনেও আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না, নির্বাচনের নাম মুখেও আনবেন না তিনি। সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন হিরো আলম।
আজ শুক্রবার নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় হিরো আলম বলেন, ‘আপনারা সবাই দেখেছেন গতকাল বৃহস্পতিবার রাশেদা সুলতানা (নির্বাচন কমিশনার) আমাকে নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন। তিনি বলেছেন, শুধু হিরো আলম না প্রতিটি প্রার্থীই পরাজয়ের পর বলে ভোট সুষ্ঠু হয়নি, কারচুপি হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, নন্দীগ্রামে হিরো আলমের কোনো এজেন্ট ছিল না। আমার কথা নাকি সব ভিত্তিহীন।’
এরপর হিরো আলম তাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আপনারা হিরো আলমের একতারা আর তানসেনের মশালের মাঝে গণভোট দেন তো দেখি। জনগণ ভোট দিয়েছে কী দেয়নি, ফলাফল কারচুপি হয়েছে কী হয়নি সেটাও আমি দেখাব। প্রতিটি কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা দেবেন। তারপর দেখেন হিরো আলম আর মশাল মার্কার মাঝে কে জেতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মশাল মার্কার এত জনপ্রিয়তা তাহলে আপনারা গণভোট দেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বললাম জীবনেও আর নির্বাচনে দাঁড়াব না। নির্বাচনের নাম মুখেও আনব না শুধু আপনারা প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দিয়ে গণভোট দিয়ে দেখেন। তখন দেখা যাবে কার কত জনপ্রিয়তা। আমি দেশবাসীর সামনে বলতে চাই আমি গণভোট চাই।’
১ ফেব্রিয়ারি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে লড়েছেন হিরো আলম। একতারা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তিনি। নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে হিরো আলম পান ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। বগুড়া-৬ আসনে হিরো আলম পান ৫ হাজার ২৭৪ ভোট। এ আসনে ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী রাগেবুল হাসান বিপু বিজয়ী হন।