২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:৪৭
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:৪৭

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপকূলে জলবায়ু ধর্মঘট পালিত

আকরামুজ্জামান সাতক্ষীরা।।
শ্যামনগর প্রেস ক্লাবের সামনে ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় উপকূলীয় যুব সংগঠন কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্ক, জনকল্যান সংস্থা, নির্ভয় ফাউন্ডেশনের আয়োজন করে জলবায়ু ধর্মঘট । ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনয়োগ বন্ধ ও এর পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ করার দাবিতে জলবায়ু ধর্মঘটে অংশ নেয় জনকল্যান সংস্থা, নির্ভয় ফাউন্ডেশন ও কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্কের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা।

  • জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ধর্মঘট।
  • জলবায়ু খাতে আর্থিক বিনিয়োগ দাবি তরুণদের।
  • জলবায়ু সংকট নিরসনের দাবিতে শ্যামনগরে জলবায়ু ধর্মঘট।

এসময় জলবায়ু সুরক্ষা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ, নবায়নযোগ্য শক্তির সম্প্রসারণ ও টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানায় তরুণ জলবায়ু আন্দোলনকারীরা। তরুণরা তাদের বক্তব্যে বলেন, পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে যা পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে মানুষের চেয়ে মুনাফাই মুখ্য। এই অবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান এসেছে গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে।

এই শান্তিপূর্ণ ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা স্লোগান, প্ল্যাকার্ড, পোস্টার প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানান।

তরুণ জলবায়ু কর্মী ও যুব সংগঠক কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্ক সাধারণ সম্পাদক আলতাপ হোসেন বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করা এবং নবায়নযোগ্য শক্তি ও জলবায়ু সহনশীল টেকসই কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ বৃদ্ধির দাবিতে সমগ্র পৃথিবীর তরুণ জলবায়ু কর্মীরা আজ আওয়াজ তুলেছে। আমরা তরুণরা এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে কোন মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে না”।

এছাড়াও বক্তারা বলেন, ‘সাতক্ষীরার উপকূলীয় মানুষের জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। বিশেষ করে সুপেয় পানির বানিজ্যিকিকরণ বন্ধ ও সরকারি সেবায় সুপেয় পানি নিশ্চিত করার জন্য অর্থায়ন করলে উপকূলবাসী জলুবায়ুর ক্ষতি মোকাবেলায় সক্ষম হবে’।

নির্ভয় ফাউন্ডেশন , জনকল্যান সংস্থা ও কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্কের পাশাপাশি এদিন সারা বিশ্বের তরুণরা জলবায়ু সুবিচার ও জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট পালন করেছে। উল্লেখ্য সংগঠন দুটি বাংলাদেশে জলবায়ু সুবিচার নিশ্চিতের দাবিতে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় মানুষের অধিকার আদায় ও তাদের জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চত করার লক্ষ্যে তাদের এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn