২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১২:২১
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১২:২১

জুনের চেয়ে জুলাইয়ে মৃত্যু তিন গুণেরও বেশি

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। দেশে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা বিবেচনায় জুনের চেয়ে জুলাইয়ের মৃত্যু প্রায় তিন গুণেরও বেশি। জুলাই মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৬ হাজার ১৮২ জন। যা এখন পর্যন্ত এক মাসে সর্বোচ্চ।

এদিকে প্রতিদিনই আগেকার রেকর্ড ভেঙে এ ভাইরাসে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। যা থেকে পরিস্থিতির ভিন্নপ্রবাহ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জুলাই ১৪৩ জন, ২ জুলাই ১৩২ জন, ৩ জুলাই ১৩৪ জন, ৪ জুলাই ১৫৩ জন, ৫ জুলাই ১৬৪ জন, ৬ জুলাই ১৬৩ জন, ৭ জুলাই ২০১ জন, ৮ জুলাই ১৯৯ জন, ৯ জুলাই ২১২ জন, ১০ জুলাই ১৮৫ জন, ১১ জুলাই ২৩০ জন, ১২ জুলাই ২২০ জন, ১৩ জুলাই ২০৩ জন, ১৪ জুলাই ২১০ জন, ১৫ জুলাই ২২৬ জন, ১৬ জুলাই ১৮৭ জন, ১৭ জুলাই ২০৪ জন, ১৮ জুলাই ২২৫ জন, ১৯ জুলাই ২৩১ জন, ২০ জুলাই ২০০ জন, ২১ জুলাই ১৭৩ জন, ২২ জুলাই ১৮৭ জন, ২৩ জুলাই ১৬৬ জন, ২৪ জুলাই ১৯৫ জন, ২৫ জুলাই ২২৮ জন, ২৬ জুলাই ২৪৭ জন, ২৭ জুলাই ২৫৮ জন, ২৮ জুলাই ২৩৭ জন, ২৯ জুলাই ২৩৯ জন, ৩০ জুলাই ২১২ জন, ৩১ জুলাই ২১৮ জন। এর মধ্যে গত ২৭ জুলাই দেশে একএকদিনে সর্বোচ্চ ২৫৮ মৃত্যু হয়। সেই হিসাবে করোনায় জুলাই মাসে দেশে ৬ হাজার ১৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ওই মাসে মোট ৫১ জনের মৃত্যু হয়। এরপর এপ্রিলে ১৬৩ জন, মে মাসে ৪৯২ জন, জুনে ১১৯৭ জন, জুলাইয়ে ১২৬৪ জন, আগস্টে ১১৭০ জন, সেপ্টেম্বরে ৯৭০ জন, অক্টোবরে ৬৭২ জন, নভেম্বরে ৭২১ জন এবং ডিসেম্বরে ৯১৫ জনের মৃত্যু হয়।

এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ এ তিন মাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে করোনা পরিস্থিতি। জানুয়ারিতে ৫৬৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৮১ জন, মার্চে ৬৩৮ জন, এপ্রিলে ২৪০৪ জন, মে ১১৬৯ জন এবং জুনে ১৮৮৪ জনের মৃত্যু হয় এবং জুলাই মাসে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। জুলাই মাসে দেশে এযাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তবে, প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা

এদিকে, করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে ১৪ দিনের জন্য ‘কঠোর’ বিধি-নিষেধ বাস্তবায়ন শুরু করে সরকার। তবে, ঈদ উদযাপনের জন্য আটদিনের জন্য বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়। পরে গত ২৩ জুলাই থেকে ফের দুই সপ্তাহের জন্য ‘কঠোর’ বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, গণপরিবহন এবং শিল্প-কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়া হয়।

তবে, ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর থাকায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারি ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

করোনা সংক্রমণের কারণে সবশেষ ৩১ জুলাই পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ছিল। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমিত রোগী পাওয়ার পর ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn