জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফারুক কাজী মারা গেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন।
আজ শুক্রবার (৩ জুলাই) সকাল আটটায় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে নিজ বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী,এক মেয়ে,দুই ভাই ও দুই বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী, ভক্ত, সহকর্মী রেখে গেছেন।কর্মজীবনে তিনি দীর্ঘ দিন বাংলার বানী,দেশ বাংলা, ইউএনবি, বাসস,বাংলাদেশের খবর, অবজারভারসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।১৯৯৬ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। পরে তাকে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রেস মিনিস্টার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০২ সালে তিনি দেশে ফিরে বার্তা সংস্থা ইউএনবিতে যোগ দেন।আজ শুক্রবার বাদ জুমআ এলিফ্যান্ট রোডে স্থানীয় মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে তাকে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।ফারুক কাজী আইন ও আদালত বিষয়ক সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ছিলেন ।তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।এছাড়া শোক জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, জাতীয় প্রেস কাব সভাপতি সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল ও মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ,সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, ল রিপোর্টার্ ফোরামের সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ হিরন,সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান রাজুসহ পেশাজীবি বিভিন্ন ব্যক্তি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।