টিকটক, শেয়ারইট, ইউসি ব্রাউজার, লাইকি, উইচ্যাট, বিগো লাইভ-সহ মোট ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। ভারতের সাইবার স্পেসের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয় প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর টুইটে। এই খবরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম এর ঢল নেমেছে।
ভারতে টিকটক তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। অনেকেই রাতারাতি তারকা বনে গিয়েছিলেন টিকটকের সুবাদে। তবে গত মে মাস থেকে রেটিং কমছিল টিকটকের।
জনপ্রিয় টিকটকার ফয়জাল সিদ্দিকীর এক ভিডিওতে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে অ্যাসিড হামলার দৃশ্য দেখানো হয়। সমালোচিত সেই ভিডিওর কারণে নিষিদ্ধ হন ফয়জাল। সেই সঙ্গে রেটিং কমা শুরু করে টিকটকের।
এছাড়াও ভারতের তুমুল জনপ্রিয় ইউটিউবার ক্যারি মিনাতি ইউটিউব ভার্সেস টিকটক নামে একটি ভিডিও তৈরি করেন। টিকটক ব্যবহারকারীরা তার ভিডিওটি পছন্দ করেননি। তারা রিপোর্ট করতে শুরু করেন ইউটিউবে। ভিডিওটিতে বেশ কিছু আপত্তিকর শব্দ থাকায় ইউটিউব সেটি সরিয়ে ফেলে। এতে ক্যারি মিনাতির ভক্তরা ক্ষেপে গিয়ে টিকটকের রেটিং কমানোর মিশনে নামেন।
টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় একারণে বেজায় খুশি ইউটিউব পন্থীরা। টিকটক বিরোধীরা তৈরি করছেন একের পর এক মিম, আর সেগুলো ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হেরা ফেরি, বাহুবলি সহ আরও অনেক ছবির দৃশ্য জুড়ে দেয়া হচ্ছে মিম-এ।
গত কয়েকদিন আগে দুই দেশের সীমান্ত সংঘর্ষে লাদাখে চীনা সৈন্যদের আক্রমণে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন এবং ৭৬ জন আহত হন। এ নিয়ে দুদেশের কূটনীতিক সম্পর্ক এখন চরমে।
অভিযোগ নিউজ