সেতু ও নদীপথের মতো এবার মহাসড়ক ব্যবহারেও টোল দিতে হবে যানবাহনগুলোকে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। চারলেনের মহাসড়ক এবং এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী যানবাহন থেকে এ টোল আদায় করবে সরকার। প্রথম টোলের আওতায় আসছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে। এরই মধ্যে এ সড়কের টোলহার নির্ধারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে তা চালু করা হবে। তবে সেসব মহাসড়কে কত হারে, কীভাবে টোল নেয়া হবে- তা নির্ধারণে কাজ করছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। সমকালের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, ঢাকা বাইপাসে প্রতি কিলোমিটারে পণ্যবাহী ট্রেইলারে (তিন এক্সেলের বেশি) ৩৩ টাকা ১০ পয়সা, বড় ট্রাকে ২৬ টাকা ৫০ পয়সা, মাঝারি ট্রাকে ১৬ টাকা ৫০ পয়সা, বড় বাসে (৩১ আসনের বেশি) ১৪ টাকা ৪০ পয়সা, মিনিবাসে ৭ টাকা ৪০ পয়সা, মাইক্রোবাসে ৬ টাকা ৬০ পয়সা, প্রাইভেট কারে ৫ টাকা ৮০ পয়সা টোল দিতে হবে। এ হিসাবে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দোলাইপাড় থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার পথে ট্রেইলারকে টোল দিতে হবে এক হাজার ৮২০ টাকা। বড় ট্রাকে এক হাজার ৪৫৮ টাকা, বড় বাসে ৬৮২ টাকা টোল দিতে হবে। প্রাইভেটকারে দিতে হবে ৩২০ টাকা। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি ফ্লাইওভার রয়েছে। ফ্লাইওভার ব্যবহারের জন্য বাড়তি মাশুল ধরলে টোল আরও বাড়বে। পোস্তগোলা ও ধলেশ্বরী সেতুর টোল সমন্বয় করলে এ অঙ্ক বেড়ে যাবে। মাঝে পদ্মা সেতুতে আলাদা টোল দিতে হবে। সেই টোলহার এখনও চূড়ান্ত হয়নি।