২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৩৩
২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৩৩

ঢাকায় ৪.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড

দীর্ঘ শীতের রাত শেষে যখন সকালের শুরু, তখনই মেঘে মেঘে আকাশ সাজে। খনিকের জন্য বজ্রের গর্জন যেন প্রকম্পিত করে এ নগরকে। ঘনীভূত মেঘে আলোকিত সকাল যেন রূপ নেয় প্রলম্বিত রাতে।

বৃষ্টি শেষে মেঘ কেটে যখন সকাল ধরা দেয় তখন ঘড়ির কাঁটা ৭টা পেরিয়ে।

গতকাল (সোমবার) থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ ছাড়া অন্য সব বিভাগের দু/একটি স্থানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস ছিল আবহাওয়া অধিদপ্তরের।

শীত আসার পর এবার এর আগে কোনো বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টি না থাকায় রাজধানীর পথঘাট ছিল ধুলোয় ধূসরিত। এক পশলা বৃষ্টির কারণে ধুলো থেকে কিছুটা মুক্তি মিলেছে নগরবাসীর।

সকাল ৭টার পর বৃষ্টি না থাকলেও ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা রয়েছে। বেলা গড়ালেও দেখা মিলছে না রোদের।

এদিকে ঢাকায় ৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে এ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় (সকাল ৬টা পর্যন্ত) সারাদেশে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইলে ৬ মিলিমিটার, নিকলিতে ৫ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ১ মিলিমিটার, বগুড়ায় ৩ মিলিমিটার, তাড়াশে ১ মিলিমিটার, নেত্রকোনায় ২ মিলিমিটার এবং সিলেটে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার বিষয়ে মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা অথবা গুঁঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া আগামী তিনদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা তুলে ধরে শাহীনুল ইসলাম বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn