ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার পঞ্চম দিন ১২ ডিসেম্বর কনসার্টে গাইবেন ‘নগর বাউলের’ জেমস। জেমস ছাড়াও ওয়ারফেজ, সহজিয়া, মেঘদল, কৃষ্ণপক্ষ, ইন্ট্রোয়েট, তীরন্দাজ ও মেহরীনসহ দেশের খ্যাতনামা কয়েকটি ব্যান্ড ও শিল্পীরা মাতাবেন এ কনসার্ট।
ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এ আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতায় আছে নগদ।
এর অংশ হিসাবে রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য শতবর্ষের স্মারক হিসেবে প্রায় ৪৫ হাজার রিস্টব্যান্ড উপহার দেওয়া হয়েছে বলে নগদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক রিস্টব্যান্ডগুলো উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেন।
উপাচার্য বলেন, আমরা নগদকে বলেছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক চরিত্র বজায় রেখে তারা যেন ক্যাম্পাসকে সাজায়। তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছে। উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গিতে অ্যাকাডেমিক ফ্লেভার নিয়ে ক্যাম্পাসকে কীভাবে সাজাতে হয়, সেটি নগদ দেখিয়েছে। একেকটি প্রাঙ্গণ যেন নতুন নতুন মাত্রা পেয়েছে। সেজন্য নগদকে ধন্যবাদ।
শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১০০ বছরের স্মৃতি-সংবলিত ফটো-ওয়াল এবং অন্যান্য সাজসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, টিএসসি, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল এবং বিভিন্ন স্থাপনা। ক্যাম্পাসের কার্জন হল, কলাভবন ও মলচত্বরসহ বিভিন্ন স্থাপনা বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি আলোকসজ্জা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়কে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাজসজ্জার দায়িত্বে রয়েছে নগদ।
গত ১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উদযাপনের বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ। টানা চারদিন আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের পর ১২ ডিসেম্বর হবে দেশের খ্যাতিমান ব্যান্ড শিল্পীদের অংশগ্রহণে জমকালো কনসার্ট।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আতশবাজির প্রদর্শনী ও লেজার শোর আয়োজন করা হচ্ছে।
লেজার শোতে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগগ্রহণ ও ভূমিকা ফুটিয়ে তোলা হবে। এ আয়োজনেও প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ।
নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘দেশের বাতিঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উদযাপন করছে। পৃথিবীর আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হয়তো নেই যারা দেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীকার আন্দোলনে নেতৃত্বের স্থানে থেকেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’