২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / ভোর ৫:২৫
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / ভোর ৫:২৫

তরুণ প্রজন্মকে ৬ দফার দাবি থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ছয় দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারাবিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস। তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস।

মঙ্গলবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৬ সালের ছয় দফা একটি অন্যতম মাইলফলক। ঐতিহাসিক এ দিনে আমি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন আমি তাদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।

আবদুল হামিদ বলেন, বাঙালির স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি। ১৯৪৮ সালে বাংলাভাষার দাবিতে যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয় তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। রচিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি। এরপর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেন। শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রানীতি, রাজস্ব ও করনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, আঞ্চলিকবাহিনী গঠনসহ এই ছয় দফার মধ্যেই তিনি পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন। যার মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং তাকে বারবার গ্রেফতার করে। তা সত্ত্বেও তিনি ছয় দফার দাবি থেকে পিছপা হননি। তার নেতৃত্বে দাবি আদায়ের আন্দোলন বেগবান হয় এবং তা অল্প সময়ের মধ্যে সারাবাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। শাসকগোষ্ঠী ছয় দফার আন্দোলন স্তিমিত করতে গ্রেফতার, নির্যাতনসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা দাবির সমর্থনে আওয়ামী লীগের আহ্বানে প্রদেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট চলাকালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মদদে পুলিশের গুলিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ১১ জন শাহাদত বরণ করেন। আহত ও গ্রেফতার হন অনেকে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তার সেই স্বপ্ন পূরণ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

Facebook
Twitter
LinkedIn