২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:৩৮
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:৩৮

তীব্র অক্সিজেন সংকটের আশঙ্কা

দেশে যেকোনো সময় অক্সিজেনের ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হতে পারে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে করোনা পরিস্থিতির বেশ অবনতি ঘটেছে। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে অক্সিজেনের ব্যাপক চাহিদা। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে দেশ ভয়াবহ অক্সিজেন সংকটের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  ভারত থেকে চারদিন ধরে বাংলাদেশে আসছে না লিক্যুইড অক্সিজেন। দেশটিতে করোনার রেকর্ড ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে তাদের দেশেই অক্সিজেনের তুমুল চাহিদা রয়েছে। এ কারণেই তারা অক্সিজেন রপ্তানি করছে না বলে মনে করছেন আমদানিকারকরা। এ অবস্থায় অক্সিজেন আমদানির বিকল্প উৎস খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ায় বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে এখন বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই। সামনে যাতে সংকট তৈরি না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দেশের বড় উৎপাদকরা বলছেন, এই মুহূর্তে রোগী কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে না, চালিয়ে নেয়া যাচ্ছে। তবে রোগী আরো বেড়ে গেলে সরবরাহে চাপ পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে অক্সিজেনের চাহিদা ১৫০ টন। এর মধ্যে লিন্ডে বাংলাদেশ ও স্পেক্ট্রা সরবরাহ করছে যথাক্রমে ৮০ এবং ৩৮ টন। এই দুটি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব প্ল্যান্টে অক্সিজেন উৎপাদন করে। পাশাপাশি তারা ভারত থেকেও আমদানি করে থাকে। ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চুক্তিবদ্ধ দুই প্রতিষ্ঠানের বাইরে দেশীয় আরো তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অক্সিজেন পেতে যোগাযোগ করেছে। এর মধ্যে আবুল খায়ের স্টিল মেল্টিং লিমিটেড দৈনিক ৭ টন, ইসলাম অক্সিজেন ২০ টন এবং এ কে অক্সিজেন লি. ৮ টন সরবরাহ করতে পারবে বলে জানিয়েছে।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোভিড পরিস্থিতির আগে দেশে দৈনিক ১০০ টন মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেনের চাহিদা ছিল। কোভিড রোগীদের সংখ্যা বাড়ায় হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ’র চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে গেছে।

লিন্ডে বাংলাদেশে সব সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের বড় অংশ সরবরাহ করে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত প্ল্যান্ট থেকে ৬০ টন এবং চট্টগ্রামে অবস্থিত প্ল্যান্ট থেকে ২০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করে। লিন্ডে বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হলেও নিজস্ব উৎপাদন বাড়িয়ে তারা সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করবেন।  

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া মানবজমিনকে বলেন,  এখন পর্যন্ত সরবরাহ ব্যবস্থায় কোন বিঘ্ন হয়নি। বিকল্প কোনো দেশ থেকে অক্সিজেন আনার কোনো পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত নেই। আমাদের এখন যেভাবে রোগী কমছে, এই হারে যদি হাসপাতালে রোগী ভর্তি কম থাকে তাহলে সংকট হবে না।  আমাদের দেশীয় এবং বিভিন্ন সোর্স থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করি। যেমন লিন্ডে এবং স্পেক্ট্রা থেকে আমরা হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ দেই দুটি ফর্মে। একটি লিক্যুইড অপরটি গ্যাস। এভাবে যদি চলে তাহলে আমরা সরবরাহ চালিয়ে যেতে পারবো। বিকল্প পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা ভারত থেকে লিক্যুইড অক্সিজেন নিয়ে আসি, সেক্ষেত্রে আমাদের সাপ্লাই চেইনে লিক্যুইড ট্যাংকের বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হতে পারে। তখন আমরা গ্যাস সরাসরি দিতে পারবো। আমাদের যে গ্যাস আছে দেশে তাতে অসুবিধা হয় না।

বিকল্প এই ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ফরিদ হোসেন আরো বলেন, লিক্যুইড গ্যাস দিতে হলে আমাদের একটা ট্যাংক বসাতে হয়। সেই ট্যাংকের মাধ্যমে কতোগুলো সিস্টেম আছে, সেগুলোর মাধ্যমে ওয়ার্ডে যেখানে লাইন আছে সেখানে আমরা সরাসরি দিতে পারি। আমাদের বড় বড় সিলিন্ডার যেটা দিতে হয় সেটিকে আমরা ম্যানিফল্ডিং সিস্টেম বলি। লিক্যুইড অক্সিজেন এভাবে ট্যাংক থেকে গ্যাস হয়ে রোগীর কাছে পৌঁছায়। এখন যদি আমাদের লিক্যুইড অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায় তাহলে আমরা ট্যাংকে লিক্যুইড অক্সিজেন না দিয়ে সরাসরি সিলিন্ডারে গ্যাস দিয়ে এই কাজটি করতে পারি। আমাদের গ্যাসের এখন পর্যন্ত কোনো ঘাটতি নেই।

লিন্ডের মানবসম্পদ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এবং প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র সায়কা মাজেদ মানবজমিনকে বলেন, আমাদের নিজস্ব উৎপাদন রয়েছে। এই মুহূর্তে আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল বন্ধ রেখেছি। যা উৎপাদন হচ্ছে পুরোটাই হাসপাতালে দিচ্ছি। আমাদের এই মুহূর্তে হাসপাতালে রোগীর চাপ কম আছে। এখন আমরা যা আছে তাই দিয়ে দিচ্ছি। আমরা এভাবে চালাতে পারবো যদি রোগীর সংখ্যা না বাড়ে। আর পরিস্থিতি খারাপ হলে সীমিত জিনিস দিয়ে মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।

এই মুখপাত্র আরো বলেন, চাহিদা তো আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। গত ছয় সপ্তাহে চাহিদা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। আর গত এক বছরে যদি বলি সেটা তিনগুণের বেশি বেড়েছে। এই চাহিদা মেটাতে আমরা এখন শিল্পজাত অক্সিজেনের চেয়ে মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদনকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি জানান, আমরা মূলত তরল অক্সিজেনকেই বেশি অগ্রাধিকার দিই। আইসিইউতে এ ধরনের অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন সরকারি হাসপাতাল ও বড় বড় বেসরকারি হাসপাতালগুলো আমাদের কাছে যে চাহিদা দিচ্ছে, এখন পর্যন্ত সেটা দিতে পারছি। এই মুহূর্তে যেহেতু তাদের চাহিদা একটু বেশি, আমরা শিল্প কারখানার অক্সিজেন বন্ধ করে দিয়ে তাদেরকে দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত চলছে, কিন্তু ভারতের মতো যদি অবস্থা হয়, তাহলে আমাদের জন্য পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে আমাদের দু’টি অক্সিজেন প্লান্ট আছে। এগুলো থেকে প্রতিদিন ৯০ টন অক্সিজেন উৎপাদিত হয়। মজুত আছে অল্পকিছু অক্সিজেন। মজুত তো আসলে বেশি রাখা যায় না, এটা তরল জিনিস। এটা তৈরি করে ট্যাংকারে রাখতে হয়, সেখান থেকে তরলীভূত হয়ে চলে যায়। ফলে তেমন বেশি মজুত করে রাখার সুযোগ নেই। এটা চলমান প্রক্রিয়া, উৎপাদন হবে আর স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সেটা হাসপাতালে চলে যাবে। তারপরও জরুরি অবস্থা বিবেচনায় কিছু মজুত করে রাখা হয়।

স্পেক্ট্রা অক্সিজেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার খালিদ হুসেইন খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের একটি লিক্যুইড প্লান্ট বসছে রূপগঞ্জে। আমরা সবাই দেশের জন্য কাজ করছি আপ্রাণ। ভারত তো এখন রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মিলে সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। যত রকমের ব্যবস্থা নেয়া যায় সব নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই আছে। যদি কোথাও সরবরাহে ঝামেলা থেকে থাকে সেটি অত্যন্ত নগণ্য সংখ্যায়। হয়তো এলাকাভিত্তিক চাহিদায় চাপ দেখা দিতে পারে। কিন্তু ব্যাপকভাবে চাহিদা যেখানে দেশের বড় হাসপাতালগুলোতে সেখানে কোনো ঝামেলা নেই সরবরাহে। নতুন যে ডিএনসিসি হাসপাতাল তৈরি হলো সাত দিনে, সেখানে লিক্যুইড অক্সিজেন খুব স্মুথলি চলছে। তিনি আরো বলেন, দুই-একটা জায়গায় অনেক সময় সিলিন্ডারগুলো ঠিকমতো যেতে পারে না। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে। বড় হাসপাতালে আগে সাতদিনে একবার গাড়ি যেত। এখন  দুই-একদিন পর পর ট্রিপ যাচ্ছে। রপ্তানি বন্ধ করলেও আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। জুন মাসের মধ্যে আমাদের একটি প্লান্ট চালু হচ্ছে। সেখান থেকে আমাদের ২৫ থেকে ৩০ টন উৎপাদন হবে। একটা প্লান্ট বসাতে বছর পেরিয়ে যায়। আজ লাগছে নিচ্ছে মানুষ, কিন্তু দুইদিন পর যখন লাগবে না তখন তো এই ২০০ কোটি টাকার ইন্ডাস্ট্রি বসে যাবে। আমাদের সাপ্লাই চেইনে ৩০ টন লিক্যুইড অক্সিজেন অতিরিক্ত ঢুকে যাবে। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যখনই রোগী বেড়ে গিয়েছিল আমরা এবং লিন্ডে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস দেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। তাদের বলে দিয়েছি এই মুহূর্তে আমরা তাদের সরবরাহ করতে পারবো না। সেটা বন্ধ করে আমরা হাসপাতালে দিয়েছি। পাশাপাশি যাদের কাছে সিলিন্ডার যায় তাদের সরাসরি গ্যাস প্লান্ট থেকে সরবরাহ করছি। আগে আমরা গ্যাসের প্রোডাকশন কমিয়ে লিক্যুইড থেকে গ্যাস করতাম। এখন আমরা দু’টি কোম্পানি শুধু গ্যাস প্লান্ট থেকে গ্যাসই দিচ্ছি। এই দু’টি পদক্ষেপ নেয়ার কারণে আমাদের দুই কোম্পানিরই সক্ষমতা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর করোনা সংক্রমণ অনেক বেশি মাত্রায় বেড়েছে। এছাড়া করোনার নতুন ধরন (স্ট্রেইন) অতি মাত্রায় সংক্রামক। ফলে রোগীদের ফুসফুস মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকেরই অল্প সময়ের মধ্যে তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে বেশিসংখ্যক রোগীকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। আর গুরুতর অসুস্থদের জীবন বাঁচাতে অক্সিজেন সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা জরুরি। বেশির ভাগ রোগীই তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন। তাদের হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার মাধ্যমে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে।

এখনই বিকল্প না ভাবলে সামনে বড় সংকট হতে পারে
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেন আমদানির জন্য শুধুমাত্র ভারতের ওপর নির্ভর করলে হবে না। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে হবে। ভারত অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে এজন্য হায় হুতাশ করে লাভ নেই। ভারত ছাড়াও আরো অনেক দেশ আছে যারা অক্সিজেন রপ্তানি করে। দরকার হলে দাম বেশি দিয়েও ব্যবস্থা করতে হবে। অক্সিজেন রপ্তানি করে এবং যেসব দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনো ভালো ওইসব দেশ থেকে আনা যেতে পারে। ভারত রপ্তানি করবে না তাই বলে আমরা বসে থাকলে হবে না। কারণ এখনই বিকল্প না ভাবলে সামনে বড় সংকটে পড়তে হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ কমো মডেলিং গ্রুপের প্রধান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল। গতকাল মানবজমিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শাফিউন নাহিন শিমুল বলেন, ভারত থেকে অক্সিজেন যে আসবে না সেটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ সেখানে ক্রাইসিস চলছে। ভারতের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। সামনে আরো খারাপ পরিস্থিতি হবে। তাই তাদের নিজেদেরই সংকট চলছে। তারা যেভাবে রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে আমাদেরও এ রকম পরিস্থিতি হলে আমরাও তাই করতাম। এসব চিন্তা মাথায় রেখেই পরবর্তী পরিকল্পনা করতে হবে। অক্সিজেন কাঁচামাল এবং বাতাস থেকেও উৎপাদন করা যায়। কাঁচামাল না পেলে বাতাস থেকে কীভাবে করা যায় ওদিকেও নজর দিতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লাভ না হলে তারা উৎপাদনে যাবে না। তাই  বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে কূটনৈতিক সম্পর্ক কাজে লাগিয়েও কমিউনিকেশনটা করা শুরু করতে হবে।

তিনি বলেন, যদি ভারতীয় করোনা ধরন দেশে আসে তাহলে অক্সিজেন সংকট দেখা দিবে। যদিও বলা হচ্ছে এখনো ধরনটা পাওয়া যায়নি। এখন পায় নাই মানে যে আসে নাই বিষয়টা এ রকম না। দেশে আর কতটাই নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে? তাই আসেনি এবং আর আসবে না এটা বলা মুশকিল। যেকোনো সময় ভারতীয় ধরনের রোগী শনাক্ত হতে পারে। কারণ অফিসিয়ালভাবে সীমান্ত বন্ধ থাকলেও আনঅফিসিয়ালভাবে সীমান্ত বন্ধ হবে না। সবমিলিয়ে না আসাটা অবাক করার মতো হবে। তবে ওই ধরনটা দেশে আসলেই যে ওই রকম অ্যাফেক্ট করবে সে রকমটা নাও হতে পারে।  

তিনি বলেন, করোনার জটিল রোগীদের সময়মতো অক্সিজেনটা দিলে অনেকের আইসিইউ লাগে না। আইসিইউ চাপটা কমানো যায়। করোনার কারণে রোগীরা মারা যায় না। মারা যায় অক্সিজেন ও চিকিৎসার অভাবে। তাই রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে। অক্সিজেন আমদানি করতে কোনো সমস্যা হবে না। যারা এসব নিয়ে কাজ করে তাদের জানা আছে। চেষ্টা করলে ব্যবস্থা একটা হয়ে যাবে। এমন তো না যে পুরো বিশ্বেই খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার করছে। অনেক দেশ আছে যারা অক্সিজেন রপ্তানি করে কিন্তু তাদের দেশে করোনা পরিস্থিতি ভালো। এ রকম দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমদানি করা সম্ভব।

আপনার মতামত দিন

Facebook
Twitter
LinkedIn