তুমি বরং নিজেকে রোমহর্ষক কোন উপন্যাসের মত রহস্যময় করে রেখো।তোমায় পড়ার অধীর আগ্রহ থাকবে আর তুমি একটু আধটু পৃষ্ঠা উল্টাবে কিন্তু সবটা পড়তে দিবে না।
তুমি বরং পাল তোলা কোন তরী হয়ে মাঝ নদীতে ভেসে থেকো।মাঝে মধ্যে তোমাতে চড়ে বেড়াবো,হাওয়া খাবো। তবে,তোমায় কাবু করতে গেলে মুহূর্তেই তলিয়ে দিও!
তুমি বরং ব্যস্ত শহরে খুঁটির তারে বসে থাকা কোন চড়ুই হয়ো? না হয় সকাল বেলা কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙানো মৌটুসী হয়ো।তোমায় যেই না ধরতে যাবো টুপ করে উড়ে যেও!
তুমি না হয় রাতে ফোঁটে রাতে ঝরে যাওয়া নাইটকুইন হয়ো? বছরের কোন এক রাতে হঠাৎ ফুটে আবার ঝরে যেও যেন তোমায় একবার দেখার জন্য শত শত নির্ঘুম রজনী কাটাতে হয়!
তুমি না হয় ওই দূর আকাশের কলঙ্কিত চাঁদই হয়ো। আমি দূর থেকে তোমার জোছনা মাখবো আর মুগ্ধ হবো। হঠাৎ কখনও আমায় ঘোর অমাবস্যায় ছেয়ে দিও।
তুমি চাইলে জ্বলন্ত সূর্য হও তোমায় ছুঁতে গেলে যেন হাত ঝলসে যায় তবুও তুমি সহজলভ্য হয়ো না! বইয়ের মতো নিজেকে পড়তে দিও না। জানো তো পুরোটা পড়তে দিলে অনীহা বেড়ে যায়۔۔۔۔