২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৪:০০
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৪:০০

তুরাগ নদে ভেসে উঠলো মৃত ডলফিন

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার তুরাগ নদে তিন মণ ওজনের একটি মৃত ডলফিন ভেসে উঠেছে। পরে স্থানীয় জেলেরা নদের পানি থেকে তীরে উঠিয়ে আনে।

রোববার সন্ধ্যায় জাল দিয়ে ডলফিনটি তীরে উঠিয়ে আনে জেলেরা। এর আগে একই দিন বিকেলে স্থানীয় তুরাগ নদের আশুলিয়া বাজার সংলগ্ন ঘাটে মৃত ডলফিনটি ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান তারা।

স্থানীয়রা জানান, আগে কখনো এই নদীতে ডলফিন দেখননি তারা। বিকেলে আশুলিয়ার বাজার সংলগ্ন তুরাগের ঘাটে মাছ ধরতে যায় স্থানীয় কয়েকজন জেলে। তুরাগ নদে একটি ডলফিন ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় তারা, পরে জাল দিয়ে ডলফিনটি তীরে তুলে আনা হয়। ডলফিনটির মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিলো। মূলত নদীর পানিতে কারখানার নির্গত রাসায়নিক অতিমাত্রায় মিশ্রিত থাকায় ডলফিনটি মারা গেছে।

সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সরকার বলেন, এটা গ্যাংগিজ ডলফিন বা বাংলায় হলো গাঙ্গের শুশুক। এক সময় পদ্মা ও যমুনা নদীতে এর অভয়াশ্রম ছিল। মূলত এরা স্তন্যপায়ী জাতীয় প্রাণী। তবে এই অঞ্চলে গত ১০-১৫ বছরের মধ্যে এ রকমের শুশুক দেখা যায়নি বা শোনা যায়নি। হয়ত কোনোভাবে বুড়িগঙ্গা থেকে এসেছিল।

মারা যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকার আশপাশের পরিবেশ দূষণের কারণে জলজ জীববৈচিত্র মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। সেই সাথে এই প্রাণীর যে খাদ্যাভাস সেটা তুরাগ নদীতে এখন নেই। বিষাক্ততা, খাদ্য স্বল্পতা, অথবা কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে।

তিনি আরো বলেন, মৃত্যুর কারণটা নিশ্চিত ও গবেষণার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের গবেষকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। স্থানীয়দের অনুরোধ করছি পরে এ ধরনের প্রাণী দেখতে পেলে যেন আমাদেরকে জানানো হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn