দক্ষিণ আফ্রিকার বিরূপ কন্ডিশনে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। স্বাগতিকরা টাইগ্রেসদের কাছে ১১৯ রানে পরাজিত হয়েছে। ওয়ানডেতে আগের ১৮ বারের দেখায় দুইবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছেন নিগার সুলতানারা। দুটোই ছিল দেশে। তবে এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে পেলো জয়ের স্বাদ।
নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ২৫১ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি ছুড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। নাহিদা-রাবেয়াদের তোপে ৭৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে প্রোটিয়ারা। একশর আগে হারায় ৮ উইকেট।
হাল ধরে পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছেন সাত নম্বরে নামা এলিজ-মারি মারক্স। শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনিই আউট হয়েছেন ৩৫ করে। ৩৬.৩ ওভারে ১৩১ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার নেন ৩টি উইকেট। সুলতানা খাতুন, রাবেয়া খান আর ফাহিমা খাতুনের শিকার ২টি করে উইকেট।
এর আগে মাত্র ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলা মুর্শিদা খাতুন। আউট হলেও তবু মনকে সান্ত্বনা দেওয়া যেতো! মুর্শিদা যে দারুণ ব্যাটিং করে অপরাজিতই রয়ে যান।
বাঁহাতি এই ব্যাটারের অপরাজিত ৯১ রানে ভর করে ৩ উইকেটে ২৫০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
এটিই নারী ক্রিকেটে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগে ২০২২ সালে হ্যামিল্টনে পাকিস্তানের বিপক্ষে করা ৭ উইকেটে ২৩৪ রানই ছিল সর্বোচ্চ।
ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্কে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় প্রোটিয়ারা। ভালো শুরু করেন দুই ওপেনার শামীমা সুলতানা আর ফারজানা হক। ১৪.২ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে তারা তুলে দেন ৬৬ রান।
৩৪ করে শামীমা আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ত্রিশের ঘরে আটকা পড়েন ফারজানা হক (৩৫) আর নিগার সুলতানা (৩৮)। তবে বাংলাদেশ বেশ স্বস্তিতেই এগিয়েছে। সফরকারী দল ১১০ রানে দ্বিতীয় আর ১৯০ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট।
মুর্শিদা খাতুন ফারজানার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪, নিগার সুলতানার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৮০ আর স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন আরও ৫৯ রান।
শেষ পর্যন্ত ১০০ বল খেলে ১২ বাউন্ডারিতে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন মুর্শিদা। স্বর্ণা আক্তার অপরাজিত থাকেন ২৮ বলে ২৭ রানে।