রাজধানীর সবুজবাগ থানার দক্ষিণগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় তানিয়া আফরোজ মুক্তা (২৮) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিন রুমের ফ্ল্যাটটির শোবার ঘরের খাটের ওপর পড়েছিল তার লাশ। রুমের জিনিসপত্র এলোমেলো ছিল। বাথরুমে খোলা ছিল এসি। রান্নাঘরে চুলা খোলা ছিল। চুলার ওপর তরকারি।
নিহত গৃহবধূর স্বামী বাসায় ছিলেন না। তিন বছর বয়সী মেয়ে এবং ১০ মাসের ছেলেটির শরীর রক্তমাখা ছিল।
হত্যাকাণ্ডের পর খুনী চলে গেলে দরজা খোলা পেয়ে তিন বছরের শিশুটি পাশের বাড়িতে ছুটে গিয়ে মায়ের হত্যার কথা জানায়। এরপর প্রতিবেশীরা ৯৯৯ এ কল করেন।
সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরাদুল ইসলাম ঘটনার এই বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার কিছুক্ষণ পর তিন বছর বয়সী মেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পাশের ফ্ল্যাটে দরজায় নক করে। সেখান থেকে লোকজন বের হয়ে পুলিশে খবর দেয়। আর দশ মাস বয়সী ছেলে সন্তানের অবস্থা দেখে তাকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
ওসি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় বাধা দিলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় তার তিন বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে এবং ১০ মাস বয়সী সন্তানকে স্কচটেপ দিয়ে মুখ পেঁচিয়ে রাখা হয়।’