সয়াবিন তেলের মূল্য বাড়ানোর তিনদিন পরও বাজারে তেলের সরবরাহ নেই। কিছু দোকানে সয়াবিন থাকলেও তা নির্ধারিত দামের চেয়েও অনেক বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা দোকানিরা বলছেন, তেলের দাম বাড়ানো হলেও ডিলাররা তাদের থেকে এখনো কোনো অর্ডার নিচ্ছেন না। তাই তাদের কাছে বিক্রি করার মতো কোনো তেল নেই। পাইকারদের কাছ থেকে চেয়েও কোনো খোলা তেল পাচ্ছেন না তারা। তাই নিয়মিত ক্রেতাদের কাছে বিকল্প হিসেবে সরিষার তেল, কিংবা সূর্যমুখী তেল বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা।
ঈদের বন্ধের কারণে সরবরাহে ঘাটতির কথা জানিয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তারা বলছে, দু’একদিনের মধ্যে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও এমন তথ্য জানিয়েছেন।
বাজারে ভোজ্য তেলর তেলেসমাতির কারণে খাবারে এটির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন ক্রেতারা। রেহানা বেগম নামের এক ক্রেতা বলেন, ঈদের অনেক আগে দুই লিটার তেল কিনেছি। শুনছি এখন দাম বাড়ছে। তাও তেল কিনতে এসে দেখি বাজারে কোনো তেল নাই। না খাইয়াও তো পারি না। অভ্যাস করে ফেলছি।
খুচরা বাজারে তেলের সংকট মঙ্গলবারের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, তেল ডেলিভারির জন্য আগে পেমেন্ট করতে হয়। ঈদের ছুটির জন্য ব্যাংক বন্ধ ছিল। এজন্য ব্যবসায়ীরা লেনদেন করতে পারেননি। এখন পেমেন্ট করলে সোমবার-মঙ্গলবারের মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।
তেলের সংকটের ব্যাপারে টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তাসলিম বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে দাম বেড়েছে। এরপর শুক্রবার বন্ধ। শনিবার ফ্যাক্টরি চালু হয়েছে। ফ্যাক্টরি চালুর পরও ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগে প্রডাকশন হতে। গতকাল সপ্তাহের প্রথম অফিস। তাহলে মানুষ নতুন পণ্য কীভাবে পাবে। দাম বাড়ার পর নতুন পণ্য পেতে একটু সময় লাগে। আমরা বৃহস্পতিবার, শুক্রবার আর শনিবার আগের রেটে আগের পণ্য ডেলিভারি দিয়েছি। নতুন পণ্য রোববার থেকে আমরা ডেলিভারি দিচ্ছি। এটা বাজারে সরবরাহ হতে দুই-একদিন সময় লাগবে। আমরা অন্য সময় যা ডেলিভারি করি এখন তাই করবো। আগের দামের তেল বাজারে ছাড়ার পরও তা কেন খুচরায় পাওয়া যাচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ডিস্ট্রিবিউটের মাধ্যমে ডেলিভারি দিচ্ছি। বাজারে কেন আগের রেটের পণ্য নাই সেটা আমি বলতে পারবো না।